চুয়াডাঙ্গায় বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেতে থানায় গেছে দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী (১৬)। মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ওই ছাত্রীর মা ও খালা জোর করে তাকে বিয়ে দিতে চায়। তাদের অনেক বোঝানো হলেও তারা তাদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকে। অবশেষে বিয়ে রুখতে ওই শিক্ষার্থী নিজেই থানায় হাজির হয়েছে।
সম্প্রতি চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন একটি বাল্যবিবাহ ভেঙে ওই শিক্ষার্থীর পড়াশোনার দায়িত্ব নেন। তা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারের পর উৎসাহিত হয়ে ওসির কাছে লিখিত অভিযোগ নিয়ে যায় ওই শিক্ষার্থী। পুলিশ ওই শিক্ষার্থীকে সাধুবাদ জানিয়ে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তার বিয়ে বন্ধ করে দেন।
পুলিশ জানায়, ১৬ বছর বয়সী এই কিশোরী চুয়াডাঙ্গা ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। তার বাবা চা দোকানি ও মা একটি মুড়ির কারখানার শ্রমিক। সম্প্রতি তার খালা ও মা তাকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। কিশোরী তাদের বার বার বোঝানো সত্ত্বেও তারা সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন এবং বিয়ের জন্য পাত্র ঠিক করেন। উপায় না দেখে কিশোরী নিজেই থানায় হাজির হয়।
চুয়াডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, আজ সকালে থানায় এক শিক্ষার্থী আসে। সে অভিযোগ করে বলে, তার মা ও খালা তাকে জোর করে বিয়ে দিতে চাচ্ছেন। কিন্তু সে পড়তে চায়। পরে আমরা তার মা-বাবাকে বুঝিয়ে বিয়ে বন্ধ করে তার পড়াশোনা সচল রাখার ব্যবস্থা করি।
খুলনা গেজেট/ এস আই