যশোরের কেশবপুরে ব্যবসায়ীকে অপহরণ ও চাঁদাবাজির অভিযোগে জাহাঙ্গীর আলম সুজন খাঁনসহ অজ্ঞাত ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত সুজন খাঁন কেশবপুরের মির্জানগর গ্রামের সাদেক আল খাঁনের ছেলে। কেশবপুরের ত্রিমোহিনী গ্রামের ব্যবসায়ী দেবতোষ কর্মকার বাদী হয়ে এ মামলাটি করেছেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আরমান হোসেন অভিযোগের তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, দেবতোষ কর্মকার একজন বালি ও মাটি ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন এলাকায় সুনামের সাথে ব্যবসা করছেন। তার ব্যবসার উপর কুদৃষ্টি পড়ে আসামি সুজন খানের। তিনি তার লোকজন দিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে তার কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিলো। গত ১১ মার্চ রাতে তিনি বালি কেনার জন্য উপজেলার মির্জানগর গ্রামের মিন্টুর বাড়িতে যান। কথাবার্তা শেষে তিনি ফিরে আসার সময় সুজন খাঁনের নেতৃত্বে আসামিরা তার গতিরোধ করে চাঁদার টাকা দাবি করে।
এ টাকা দিতে অস্বীকার করায় সুজনসহ অন্যারা জিপগাড়িতে উঠিয়ে দেবতোষকে গোপালপুর বাজারে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নিয়ে আটকে রাখে। একপর্যায়ে মারপিট করে তার কাছে থাকা ২০ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। এরপর হত্যার হুমকি দিয়ে তিনটি ফাঁকা স্টাম্পে সাক্ষর করিয়ে আগামি ২০ মার্চের মধ্যে চাঁদার টাকা দেয়ার কথা বলে ছেড়ে দেয়। গোপলপুর বাজারে একজন চিকিৎসক পরে তার মোটরসাইকেলটি আসামিদের কাছ থেকে উদ্ধার করে ফিরিয়ে দেন।
এ ব্যাপারে তিনি কেশবপুর থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ মামলা হিসেবে গ্রহণ না করায় মঙ্গলবার তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।
খুলনা গেজেট/কেএ