বার কাউন্সিলের লিখিত পরীক্ষা চলাকালে রাজধানীর বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্রে ভাঙচুরের ঘটনায় তিনটি থানায় পাঁচটি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় আসামির সংখ্যা প্রায় এক হাজার। তবে এ ঘটনায় ৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এবং তাদের মধ্যে ২৪ জনকে রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে। আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম এ আদেশ দেন।
ঢাকার অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) জাফর হোসেন এ বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা পৃথক পৃথক মামলায় ৪৯ জনকে হাজির করেন। তদন্ত কর্মকর্তারা তিন দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক ২৪ জনকে একদিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন। অন্যদের কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ বলেন, ‘মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজে ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। মামলায় ১৬ জনকে নামধারী এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৫০০ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।’
নিউমার্কেট থানার ডিউটি অফিসার মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, বার কাউন্সিল পরীক্ষায় ভাঙচুরের ঘটনায় বিসিএসআইআর স্কুল কর্তৃপক্ষ একটি এবং পুলিশ বাদী হয়ে দুটিসহ মোট তিনটি মামলা দায়ের করে। এ ঘটনায় মোট ৩৭ জনের নাম উল্লেখ করে ২৫০ জনকে আসামি করা হয়। এসব মামলায় ৩৭ জনকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে।
সূত্রাপুর থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা বলেন, বার কাউন্সিল পরীক্ষার ঘটনায় একটি ভাঙচুরের মামলা করা হয়েছে। মামলায় কতজনকে আসামি করা হয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে তিনি বলতে পারেননি। তবে এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
এর আগে গতকাল শনিবার রাজধানীর নয়টি কেন্দ্রে সকাল ৯টা থেকে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্তির জন্য বার কাউন্সিলের লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়। এতে ১৩ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়। পরীক্ষা শুরু হওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যে ‘প্রশ্ন কঠিন হয়েছে’ এমন দাবি তুলে এবং অনবরত স্লোগান দিয়ে পরীক্ষা বর্জন শুরু করে দুটি কেন্দ্রের শিক্ষার্থীরা। কেন্দ্র দুটি হলো মোহাম্মদপুর সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজ। একই অবস্থা হয় মোহাম্মদপুর মহিলা কলেজ, মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজ ও বিসিএসআইআর হাইস্কুলে। কিছু শিক্ষার্থী অন্য কেন্দ্র থেকে ওসব প্রতিষ্ঠানে গিয়ে পরীক্ষা বন্ধ করে দেয়।
খুলনা গেজেট/এনএম