ইসলামী আইন বিশেষজ্ঞ ও হাদিস বিশারদ আল্লামা মুফতি আবদুল মালেক (হাফি)-কে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব নিযুক্ত করা হয়েছে। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এদিকে জাতীয় মসজিদের নতুন ইমামকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ইসলামিক ব্যক্তিত্ব শায়খ আহমাদুল্লাহ। মাওলানা আবদুল মালেক সব মুসলিমের জাতীয় অভিভাবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন তিনি।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, ‘জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব নিযুক্ত হয়েছেন দেশের বিশিষ্ট আলেম মাওলানা আবদুল মালেক হাফিজাহুল্লাহ। অভিনন্দন তাঁকে। তিনি হাদিস-শাস্ত্রের পণ্ডিত এবং অত্যন্ত বিনয়ী একজন মানুষ।’
তিনি আরও বলেন, ‘মহান আল্লাহ তাকে ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার এবং দল-মত-গোষ্ঠী নির্বিশেষে সব মুসলিমের জাতীয় অভিভাবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করার তাওফিক দান করুন।’
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে আল্লামা মুফতি আবদুল মালেক (হাফি)-কে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব নিয়োগের অনুমোদন দেয়া হয়।
ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মুফতি আবদুল মালেক দেশ-বিদেশের প্রসিদ্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইসলামিক স্টাডিজ, হাদিস ও ফিকহের ওপর উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনকারী একজন পণ্ডিত ব্যক্তি। বিশ্বখ্যাত মুফতি বিচারপতি তাকী ওসমানী তার ওস্তাদ। আরব বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইসলামি পণ্ডিত ও সৌদি আরবের রিয়াদে অবস্থিত ইমাম মোহাম্মদ ইবনে সাউদ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের উসুলুদ্দীন অনুষদের অধ্যাপক শায়খ আবদুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহর (রহ.) অধীনে তিনি দুই বছর হাদিস ও ইসলামি আইন বিষয়ে উচ্চতর গবেষণা পরিচালনা করেন।
আবদুল মালেক মক্কা, মদিনা, পাকিস্তান, ভারত ও তুরস্ক সফর করেছেন এবং বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন। তিনি ইতোমধ্যে বাংলা, আরবি, ইংরেজি ও উর্দু ভাষায় মোট ১৬টি গ্রন্থ রচনা করেছেন। এ ছাড়া তার তত্ত্বাবধানে মাসিক আল-কাউসার নামে নিয়মিত একটা গবেষণা পত্রিকা বের হয়।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে পলাতক ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ রুহুল আমিন। কিন্তু পলাতক অবস্থা থেকে গত ২০ সেপ্টেম্বর রুহুল আমিন হঠাৎ নামাজ পড়াতে এলে মুসল্লিরা তার পেছনে নামাজ পড়তে অপারগতা প্রকাশ করেন। এটা নিয়ে বায়তুল মোকাররম মসজিদের মধ্যেই দুই গ্রুপের মুসল্লিরা সংঘর্ষে জড়ায়, ভাঙচুর করা হয় মসজিদ।
এরপর এ বিষয়ে তদন্ত করে গত ২২ সেপ্টেম্বর রুহুল আমিনকে খতিবের পদ থেকে অপসারণ করে সরকার।
খুলনা গেজেট/এনএম