দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া লক্ষ্যের জবাব ভালোভাবেই দিচ্ছিলো পাকিস্তান। বাবর আজম ওপেনার ইমাম উল হককে সঙ্গে নিয়ে গড়েন বড় জুটি। পাকিস্তান অধিনায়ক তুলে নেন সেঞ্চুরিও। তবুও হারতে হারতে এই ম্যাচ পাকিস্তান জেতে শেষ বলে।
শুক্রবার (২ এপ্রিল) সেঞ্চুরিয়নে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৫৫ রানে চার উইকেট হারিয়ে ফেলে তেম্বা বাভুমার দল। শেষ পর্যন্ত ডাসেনের অপরাজিত অভিষেক সেঞ্চুরিতে প্রোটিয়ারা ৬ উইকেট হারিয়ে ২৭৩ রানে থামে দ. আফ্রিকা।
২৭৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় পাকিস্তান। এরপর খেলার হাল ধরেন বাবর-ইমাম। দ্বিতীয় উইকেটে গড়েন ১৭৭ রানের জুটি। ১০৩ বলে ১৭টি চারে মারে সেঞ্চুরি তুলে নেন বাবর। ১০৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন বাবর। এরপরেই অ্যানরিক নর্টজের পাল্টা আঘাতে ধস নামে পাক ব্যাটিংয়ে।
৭০ রান করে সাজঘরে ফেরেন ইমাম। ১৮৬ থেকে ২০৩ রানের মধ্যে পাকিস্তান হারিয়ে বসে চার উইকেট। মোহাম্মদ রিজওয়ানের ৪০ রানের বদৌলতে ধাক্কা সামলে উঠলেও নানা নাটকীয়তায় ম্যাচ গড়ায় শেষ বল পর্যন্ত। ইনিংসের শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল মাত্র ৩ রান। ফাহিম আশরাফ শেষ বলে গিয়ে ১ রান নিয়ে দলকে বাঁচান।
নর্টযে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেন এই ম্যাচে। তিনি ১০ ওভারে ৫১ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। এ ছাড়া অ্যান্ডাইল ফেলুকোয়ায়ো নেন ২ উইকেট।
এর আগে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে খেলতে নেমে শুরুতেই ধস নামে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিংয়ে। তবে ঘুরে দাঁড়াতেও সময় নেয়নি স্বাগতিকরা। রাসি ফন ডার ডাসেনের অভিষেক সেঞ্চুরিতে ঘুরে দাঁড়িয়ে উল্টো চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে প্রোটিয়ারা।
দুই ওপেনার অ্যাইডেন মার্করাম ১৯ ও কুইন্টন ডি কক ফেরেন ২০ রান করে। তাদের অনুসরণ করে বাভুমাও ফেরেন ১ রান করে। হ্যানরিখ ক্লাসেনও একই পথের পথিক। তার ব্যাট থেকে আসে ১ রান।
বিপর্যয়ের মুহুর্তে ডেবিড মিলারকে সঙ্গে নিয়ে শতাধিক রানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন ডাসেন। মিলার ৫৬ বলে বরাবর ৫০ করে সাজঘরে ফিরলে ভাঙে এই ১১৬ রানের জুটি। মিলার ফিফটি করে ফিরলেও ডাসেন ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন ১২৩ বলে। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৮টি চার ও ১টি ছয়ের মারে।
ডাসেনের উইকেট শেষ পর্যন্ত নিতে পারেননি পাকিস্তানি বোলাররা। অপরাজিত থাকেন ১২৩ রান করে। এ ছাড়া অ্যান্ডাইল ফেলুকোয়ায়ো ২৯ রান করেন। কাগিসো রাবাদা ১৭ রান করে ডাসেনের সঙ্গে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন।
পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট নেন শাহীন শাহ আফ্রিদি ও হারিস রউফ।
খুলনা গেজেট/কেএম