ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ধ্বংস দিবসে কলকাতা সহ ভারতের বিভিন্ন স্থানে ধিক্কার মিছিল ও প্রতিবাদ হয়েছে রবিবার । এদিন অবরুদ্ধ রাজধানী দিল্লিতে বাবরি মসজিদের ৩০ তম ধ্বংস দিবসে কৃষক সংগঠনগুলি বিশাল মিছিল করে ও প্রতিবাদ সভা করে। কৃষক সংগঠনগুলির ডাকা এই ধিক্কার মিছিলে দিল্লি মহানগরী কার্যত অচল হয়ে যায় । তাদের দাবি ছিল, অবিলম্বে বাবরি-ধ্বংসকারীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা দিতে হবে । বিচারের নামে আদালতের প্রহসন বন্ধ করতে হবে।
এদিন মুম্বই, লখনউ, অযোধ্যা, চেন্নাই , হায়দরাবাদ কলকাতায় বিশাল মিছিল ও প্রতিবাদ সভা হয়। এদিন কলকাতার মৌলালি মোড়ের রামলীলা পার্ক থেকে পার্কসার্কাস ময়দানে লেডি ব্রাবোর্ণ কলেজ পর্যন্ত বিশাল মিছিল করে কয়েকটি বামপন্থী গণ সংগঠন, মানবাধিকার ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। মিছিল শেষে লেডি ব্রাবোর্ণ কলেজের সামনে বক্তব্য, গান ও কবিতায় ধিক্কার জানানো হয়। মিছিল থেকে বাবরি ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে তীব্র ধিক্কার জানানো হয়।
লেডি ব্রাবোর্ণ কলেজের সামনে বক্তব্য বলেন কলকাতার বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী রতন বসু মজুমদার, মানবাধিকার কর্মী অধ্যাপক সুজাত ভদ্র, বন্দী মুক্তি কমিটির ছোটন দাস ও ভানু দাস, বুদ্ধদেব ঘোষ, প্রদীপ সেন গুপ্ত, মোরাদ হোসেন, মৌলানা ওমর হোসেন প্রমুখ।সভা শেষে সম্প্রীতির উপর লেখা সমরেশ বসুর `আদাব’ গল্পের কাহিনী অবলম্বনে নাটক পরিবেশিত নাট্যকার প্রদীপ সেনগুপ্তের পরিচালনায়।
এদিন কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে দিনটিকে ধিক্কার দিবস হিসাবে পালন করা হয়। এদিন মৌলালী যুবকেন্দ্রে বামদলগুলির সভাতে বাবরি ধ্বংসের তীব্র নিন্দা করা হয়।
খুলনা গেজেট/কেএম