প্রিমিয়ার লিগের ২০১৪-১৫ মৌসুমে রানার্সআপ হয়েছিল শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। সেই ট্রফি তারা পেল ছয় বছর পর। তৃতীয় ও দ্বিতীয় বিভাগ, বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ এবং সিনিয়র ডিভিশন ফুটবল মিলিয়ে ২০১৪-১৫ থেকে ২০১৮-১৯ মৌসুম পর্যন্ত মোট ২৩টি ‘বকেয়া ট্রফি’ প্রাপ্যদের অবশেষে বুঝিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। নির্বাচনের আগে কাল বাফুফে ভবনে ঘটা করে ট্রফি তুলে দেয়া হয় দলগুলোর হাতে। আগামী ৩ অক্টোবর বাফুফের নির্বাচন।
২৩ ট্রফির মধ্যে ছয়টি চ্যাম্পিয়ন, ১১টি রানার্সআপ, তিনটি তৃতীয়, দুটি চতুর্থ ও একটি পঞ্চম স্থানের। ট্রফি প্রদান অনুষ্ঠানে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনসহ ফেডারেশন ও ক্লাবের অনেক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বাফুফের দু’জন কর্মকর্তার বক্তব্যে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। সোমবারের অনুষ্ঠানের বিষয়ে বাফুফের বর্তমান সদস্য ও সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রার্থী শেখ আসলাম আগেই নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন।
বাফুফে নির্বাচনী তফসিলে ৭ এর ধারায় বলা হয়েছে নির্বাচনী প্রচারণা প্রসঙ্গে। ৭ ধারার ৩ উপধারায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর কোনো প্রার্থীর বাফুফে ভবন, স্টেডিয়ামসংলগ্ন এলাকায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ভোট চাওয়া নিষিদ্ধ। কিন্তু ট্রফি প্রদান অনুষ্ঠানে বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী তার প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ আসলাম ও তার বিরোধী প্যানেলের সমালোচনা করেছেন। বাফুফের সদস্য হারুনুর রশিদ কাজী সালাউদ্দিনের সম্মিলিত পরিষদের ইশতেহারে প্রথম-তৃতীয় বিভাগ ক্লাবগুলোর কথা বলেছেন। সালাম ও হারুনের কথায় নির্বাচনী প্রচারণা হয়েছে পরোক্ষভাবে। এ প্রসঙ্গে সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘আমি এমন কিছু করিনি যাতে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ হয়। আমরা এখনও দায়িত্বে রয়েছি। সেই দায়িত্ব পালন করেছি ট্রফি প্রদান করে।’
খুলনা গেজেট/এএমআর