বান্দরবানের রুমা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে র্যাবের গোলাগুলি হয়েছে। এই অভিযানে প্রশিক্ষণরত ১৭ জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছেন র্যাবের সদস্যরা। একই সঙ্গে পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
র্যাবের সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এ বিষয়ে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বান্দরবান র্যাব ক্যাম্পে প্রেস ব্রিফিং করে বিস্তারিত জানাবেন।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র ১৭ জন সদস্য ও পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের তিন সদস্য রয়েছেন। বান্দরবানের থানচি উপজেলার রেমাক্রি ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ দেশি ও বিদেশি অস্ত্র, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, গোলাবারুদসহ সাত লাখ টাকা উদ্ধার করেছে র্যাব। এ সময় গোলাগুলির ঘটনায় র্যাবের ৮ সদস্য আহত হন।
এর আগে মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে র্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, নতুন বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ও নব্য জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার জঙ্গি সদস্যরা একটি ক্যাম্পে অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে আজ মঙ্গলবার সকালে বান্দরবানের রুমা উপজেলার রেমাক্রী প্রাংসা এলাকায় অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছুড়ে জঙ্গি ও কেএনএফ সদস্যরা। আত্মরক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি ছুড়লে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
তিনি আরও বলেন, এ সময় জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার ৫ জঙ্গিকে আটক করতে সক্ষম হয় র্যাব। এ সময় জঙ্গিদের ছোড়া গুলিতে আহত হন র্যাবের ৮ সদস্য। পালিয়ে যাওয়া জঙ্গিদের ধরতে র্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৪ মাসে পাহাড়ে চলমান র্যাবের অভিযানে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার ৪৩ জঙ্গি ও কেএনএফ-এর ১৪ সদস্যকে আটক করেছে র্যাব।
খুলনা গেজেট/ এসজেড