বান্দরবানের রুমা উপজেলার রোনিনপাড়া ও রোয়াংছড়ির পাইক্ষ্যংপাড়া এলাকায় যৌথ অভিযানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সশস্ত্র শাখার তিন সদস্য নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। রোববার (১৯ মে) দুপুরে রুমা-রোয়াংছড়ি সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। তবে নিহতদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ডেবাছড়ার গভীর অরণ্যে কেএনএফের গোপন আস্তানার সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। ঘণ্টাব্যাপী গুলি বিনিময়ের পর সেখান থেকে কেএনএফের দুই সদস্যের মরদেহ ও অপর একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে তিনিও মারা যান। এদিকে ঘটনার পর ওই এলাকায় নিরাপত্তা টহল জোরদারের পাশাপাশি বাড়তি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমী গণমাধ্যমকে জানান, রুমা উপজেলার রোনিনপাড়ার কাছে ডেবাছড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। অভিযানে তিনজন নিহত হয়েছেন বলে শুনেছি। মরদেহ উদ্ধারের জন্য পুলিশ সেখানে গিয়েছে। দুর্গম এলাকা হওয়ার কারণে মোবাইলে সংযোগ পাচ্ছি নাঅ মরদেহ উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতালের মর্গে নিয়ে আসা হবে।
এ বিষয়ে রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আতিকুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, যৌথ অভিযানে তিন কেএনএফ সদস্য নিহত হয়েছেন। রোয়াংছড়ি ও রুমার সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। যৌথ অভিযানে রুমা সেনা জোন অংশ নিয়েছে। এ বিষয়ে যৌথ বাহিনী থেকে পরে জানানো হবে।
প্রসঙ্গত বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় গত ২ ও ৩ এপ্রিল ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, অপহরণ, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সংশ্লিষ্টতা থাকায় পাহাড়ে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে। এখন পর্যন্ত যৌথ অভিযানে আটক ৮৭ জন কেএনএফ সদস্যকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এএজে