খুলনা, বাংলাদেশ | ৮ পৌষ, ১৪৩১ | ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  গাজীপুরে কারখানায় আগুন : নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২
  হাইকোর্টের বেশ কয়েকজন বিচারপতির বিরুদ্ধে অনিয়ম তদন্তে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১৬৫

বানের পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত ৪২ লাখ মানুষ

গেজেট ডেস্ক

সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে দীর্ঘমেয়াদী বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪২ লাখ মানুষ। মারা গেছেন ৯৩ জন। দক্ষিণ এশিয়ায় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বন্যার চিত্র তুলে ধরে এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে ইউরোপিয়ান কমিশনের ইমারজেন্সি রেসপন্স কো-অর্ডিনেশন সেন্টার। এতে ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নেপাল ও মিয়ানমারের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

বলা হয়েছে, ভারতে এ পর্যন্ত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৯২ লাখ ৩৩ হাজার ৭০৫ জন মানুষ। মারা গেছেন ৬৭১ জন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বা ভেসে গেছে ৫৯ হাজার ২১৩টি ঘর-বাড়ি। নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ২ লাখ ২৫ হাজার ৭২১ জনকে।

বাংলাদেশে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪২ লাখ ৪১ হাজার ৬২৮ জন। মারা গেছেন ৯৩ জন। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ঘর-বাড়ির সংখ্যা এবং নিরাপদে কতজনকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে প্রতিবেদনে সে তথ্য দেয়া হয়নি।

নেপালে বন্যায় এ পর্যন্ত মারা গেছেন ১৭২ জন। আর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ১ হাজার ১২৭ জন। ক্ষতিগ্রস্ত ঘর-বাড়ির সংখ্যা ৩১৯টি। পাকিস্তানে মারা গেছেন ৩৬ জন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১০৯টি ঘর-বাড়ি।

আর মিয়ারমারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২৫ হাজার মানুষ। দেশটির মৃতের সংখ্যা, ক্ষতিগ্রস্ত ঘর-বাড়ির সংখ্যা বা নিরাপদে কতজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে প্রতিবেদনে সে তথ্য নেই।

এ তথ্যগুলো সংস্থাটি নিয়েছে ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট ইন্ডিয়া, পাকিস্তানের ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেচমেন্ট অথরিটি, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, মিয়ামারারে আইএফআরসি, এএইচএ সেন্টার ও জাতিসংঘের ওসিএইচএ থেকে।

জুনের শেষের দিকে শুরু হওয়া প্রথমবারের বন্যার পানি নেমে যায় জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহের শেষের দিকে। মাঝে চারদিনের বিরতি দিয়ে দ্বিতীয়বার আবার বন্যা আসে গত ১৩ জুলাই। এতে দেশের প্রায় ৩০ জেলার নিন্মাঞ্চল কয়েকবার করে প্লাবিত হয়। এখনো কোথাও কোথাও পানি বাড়ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে আগস্টের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে বন্যা।

 

খুলনা গেজেট/এআইএন




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!