পরিবহন ধর্মঘট, পথে পথে তল্লাশী, হামলাসহ নানান বাঁধাবিপত্তি ঠেলে বাগেরহাট থেকে খুলনার দিকে যাচ্ছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। শুক্রবারে ভ্যান, রিক্সা, ইজিবাইক বা পায়ে হেটে সাধারণ মানুষের সাথে মিশে রওনা হয়েছেন অনেকে। তবে পথে পথে আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগসহ ক্ষমতাসীন দলের নেতা–কর্মীদের বাঁধার মুখে পড়তে হয়েছে বলে অভিযোগ দলটির।
বিকালে বাগেরহাট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, দশানী,বারাকপুর ঘুরে দেখা গেছে, মোড়ে আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীদের লাঠি হাতে টহল দিচ্ছে। এরকম চিত্র জেলার অধিকাংশ উপজেলার।
বিকালে বারাকপুর এলাকায় লুংগি পরে হেটে যেতে দেখা যায় দুই ব্যক্তিকে। কথায় কথায় জানান, মোড়েলগঞ্জ উপজেলা থেকে এসেছেন তারা। পথে অন্তত পাঁচ স্থানে বাঁধার মুখে পড়েছেন। রাজমিস্ত্রীর কাজে যাচ্ছেন বলে পার পেয়েছেন। আসলে কোথায় যাচ্ছেন, জানতে চাইলে প্রথমে কাজের কথা বললেও কিছুক্ষণ পরে সমাবেশে যাব বলে হাটতে শুরু করেন তারা।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোজাফফর রহমান আলম বলেন, একদিকে গণপরিবহন বন্ধ রেখেছে অপরদিকে পথে পথে আমাদের নেতাকর্মীদের বাঁধা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কোনো বাঁধাতেই আমাদের কর্মীদের দমিয়ে রাখা যাবে না। যে কোনো মূল্যে গণসমাবেশ সফল করা হবে।
তবে কোথাও কাউকে বাঁধা দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. ভূইয়া হেমায়েত উদ্দীন।
শনিবার (২২ অক্টোবর) খুলনা মহানগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরে বিভাগীয় গণসমাবেশের ডাক দিয়েছে বিএনপি। সমাবেশকে কেন্দ্র করে বাগেরহাট জেলা বাস মালিক সমিতির পক্ষ থেকে বাস চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বিএনপির পক্ষ থেকে এমন দাবি করা হলেও মালিক সমিতির দাবি সড়ক ও মহাসড়কে অবৈধভাবে নছিমন, করিমন, মাহেন্দ্র, ইজিবাইক ও বিআরটিসির গাড়ি চলাচল করছে। এসব অবৈধ যান চলাচল ও কাউন্টার বন্ধ না হওয়ায় পর্যান্ত তাদর ধর্মঘট চলবে।
খুলনা গেজেট/ টি আই