বগুড়া-৬ (সদর) ও বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনে হলফনামায় গড়মিল পাওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন বগুড়া জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম। রোববার (৮ জানুয়ারি) দুপুর একটার দিকে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের দিনে এই আদেশ দেন তিনি।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের ১ শতাংশ ভোটার তালিকায় গড়মিল পাওয়া গেছে। সেখানে কয়েকজন ভোটারের সমর্থন না পাওয়ায় মনোনয়ন বাতিল করা হয়।
প্রসঙ্গত, বিএনপির দুই সংসদ সদস্য পদত্যাগ করার পর বগুড়া-৬ (সদর) ও বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসন দুটি থেকে উপনির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন হিরো আলম।
বিএনপির দলীয় সিদ্ধান্তে গত বছরের ১১ ডিসেম্বর বগুড়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম মো. সিরাজ ও বগুড়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেন স্পিকারের কাছে পদত্যাগ করেন। ফলে আসন দুটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।
এর আগে একাদশ জাতীয় নির্বাচনেও হিরো আলম বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী (সিংহ মার্কা) হয়েছিলেন। ওই সময় তিনি ৬৩৮ ভোট পান। এতে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। তবে সেবার ভোটের মাঝ মাঠে গিয়ে নির্বাচন বর্জন করেন তিনি। নির্বাচনে নন্দীগ্রামে তার ওপর হামলা হয় বলেও অভিযোগ করেন।
এছাড়াও ২০১৮ সালের ২ ডিসেম্বর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের প্রথম দিনই হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। আপিল করলে নির্বাচন কমিশন শুনানির পর তা বাতিল করে।
মনোনয়নপত্রে ভোটারের স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ তুলে আপিলেও তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে উচ্চ আদালতে তার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়। সে বছরের ১৫ ডিসেম্বর বগুড়ার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের হাতে পছন্দের ‘সিংহ’ প্রতীক তুলে দেন।
বগুড়া সদরের এরুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা হিরো আলম শৈশবে চানাচুর বিক্রি করতেন। পরে তিনি সিডি বিক্রি এবং ডিশ সংযোগের ব্যবসা শুরু করেন। এরপর নিজেই মিউজিক ভিডিও তৈরি করে ডিশ লাইনে সম্প্রচার শুরু করেন।
এভাবে হিরো আলমের তৈরি মিউজিক ভিডিও এবং সিনেমা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আলোচনায় আসেন তিনি।
খুলনা গেজেট/ এসজেড