রাজধানীর বাড্ডার ডিআইটি রোডের একটি ভবনের নিচতলায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে নিহত ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া গেছে। নিহত ওই ব্যক্তির নাম সোলায়মান (৩০)।তিনি একটি হোটেলে কাজ করতেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) ভোর সাড়ে ছয়টার দিকে ওই এলাকার তৃতীয়তলা একটি ভবনের নিচতলায় এই ঘটনাটি ঘটে। পরে তার মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। এই ঘটনায় শান্তা (২৭) নামে এক নারী গুরুতর দগ্ধ হয়ে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন।
দগ্ধ শান্তার স্বামী নাসির হাওলাদার জানান, ঘটনাস্থলের পাশেই আমার মাছের আড়ৎ। ভোরে নামাজ পড়তে বাসা থেকে বের হয়েছিলাম। হঠাৎ বিকট শব্দ শুনে বাসায় ফিরে এসে দেখি আমার স্ত্রী দগ্ধ হয়ে পড়ে আছে। পরে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় দ্রুত তাকে শেখ হাসিনা বার্নে নিয়ে আসি। বর্তমানে আমার স্ত্রী বার্ন ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন দায়িত্বরত চিকিৎসক।
আরও পড়ুন: বাড্ডায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, নিহত ১
তিনি আরো জানান, আজ কয়েকদিন ধরে আমাদের ভবনের পাশে রাস্তায় খোঁড়াখুঁড়ির কাজ চলছিল। মাঝে মাঝে আমরা সেখান থেকে গ্যাস লিকেজের গন্ধ পেতাম। বাসায় আমি গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করতাম না। লাইনের গ্যাস দিয়েই রান্না হতো আমাদের। সম্ভবত ওই গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে আমার ঘরে গ্যাস জমে ছিল, সকালে আমার স্ত্রী রান্না করতে গেলেই বিকট শব্দে এই ঘটনাটি ঘটে। আমি যতটুকু জেনেছি এই ঘটনায় আমার ঘরের পাশে সোলায়মান নামে এক বাবুর্চি ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, আজ সকালের দিকে দগ্ধ অবস্থায় শান্তা নামে এক গৃহবধূকে ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। তার শরীরে ৩৫ শতাংশ দগ্ধ রয়েছে।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, বাড্ডায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে নিহত সোলায়মান নামে এক ব্যক্তির মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে। মরদেহ বর্তমানে জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, তার বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া থানার পলাশ তলী গ্রামের মৃত মনসুর আলী ছেলে ছিল।
খুলনা গেজেট/এএজে