চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে ২৭ বছর বয়সী এক গৃহবধূকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে চার যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত লাল্টু মল্লিক (৩০) ও একরা মন্ডল (৪৫) নামের দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুরের দিকে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে সোর্পদ করা হয়।
এর আগে গত শনিবার (১৩ জুলাই) রাত আটটার দিকে উপজেলার কয়া গ্রামের মাঝের পাড়ায় সুতোর মাঠে এঘটনা ঘটে। পরেরদিন রোববার (১৪ জুলাই) এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে জীবননগর থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন। গৃহবধূকে ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।
মামলার অভিযুক্ত আসামিরা হলেন, সীমান্ত ইউনিয়নের কয়া গ্রামের মোঃ কালাম মল্লিকের ছেলে লাল্টু মল্লিক (৩০), মোঃ নওশরের ছেলে খালিদ হোসেন (২২), মোঃ মুসা’র ছেলে আব্দুল জব্বার (১৮) ও মৃত গোপালের ছেলে একরা মন্ডল (৪৫)। এ ঘটনা জানাজানি হলে অভিযুক্ত সবাই ঘটনার পর থেকে পলাতক আছে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ওই গৃহবধূ শনিবার রাতে তার বৃদ্ধা শাশুড়িকে নিয়ে নিজ বাড়িতে ছিলেন। রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ির ভেতরে অবস্থিত টিউবওয়েলে পানি আনতে যান তিনি। এ সময় অভিযুক্ত চার আসামি বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে, গৃহবধূর ব্যবহৃত ওড়না মুখে পেচিয়ে। তারা তাকে তুলে পাশের ছুঁতার মাঠে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের পর তারা তাকে মাঠে ফেলে পালিয়ে আসলে,ওই গৃহবধূ তার স্বামীকে ফোন দিলে এলাকার লোকজন ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করেন। এক পর্যায়ে ঘটনাটি জানাজানি হলে গৃহবধূ ওই চারজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জাবীদ হাসান বলেন, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। এরইমধ্যে ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। অভিযুক্তদের দু’জনকে গ্রেপ্তার করে দুপুরে বিজ্ঞ আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। অপর দু’জনকে ধরতে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত আছে।
খুলনা গেজেট/কেডি