যশোরের রামনগর কলুপাড়ায় বাড়ির মালিককে অজ্ঞান করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করেছে একটি প্রতারক চক্র। এ ঘটনার পর ডিবি পুলিশের অভিযানে চক্রের পাঁচ সদস্য আটক হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু স্বর্ণালঙ্কার।
ভুক্তভোগী শারমিন সুলতানা শান্তার দায়েরকৃত মামলা সুত্রে জানা যায়, গত ১৩ এপ্রিল সকালে দুই পুরুষ ও দুই নারী বাসা ভাড়া নেওয়ার জন্য তার বাড়িতে যায়। তারা মাসিক ৩ হাজার টাকার চুক্তিতে বাসা ভাড়া নেওয়ার কথা জানায় এবং এক হাজার টাকা অগ্রিম দেয়। পরদিন পুরুষ দুইজন চলে গেলেও নারী দুইজন থেকে যায়।
এরপর, গত ১৭ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে ওই দুই নারীর ভাগ্নে পরিচয়ে এক ব্যক্তি খাবার নিয়ে আসে। পরে ওই নারীরা পরিবারের সদস্য ও পাশের ভাড়াটিয়াদের ডেকে এনে খাবার খাওয়ায়। খাবারে চেতনা নাশক মিশানো ছিল। ওই খাবার খেয়ে সবাই অচেতন হয়ে পড়লে প্রতারক চক্র ঘর থেকে নগদ দুই লাখ টাকা ও আনুমানিক ১০ লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কার লুট করে পালিয়ে যায়। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি এবং কোতোয়ালী থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
এ ঘটনার পর ২৬ এপ্রিল ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে পিরোজপুরের নাজিরপুর থেকে জাহারুল ও মারুফাকে আটক করে। তাদের স্বীকারোক্তিতে উদ্ধার করা হয় একটি স্বর্ণের রুলি, দুটি চুড়ি, একটি চেইন ও এক জোড়া দুল। পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী খুলনার ফুলতলা থেকে মামুন মিয়া এবং খুলনার দৌলতপুর থেকে লিটন ও বিপ্লব কর্মকারকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় দুটি স্বর্ণের চেইন ও ১ আনা ১ রতি ওজনের গলিত স্বর্ণ।
আটককৃতরা হলো, খুলনার ফুলতলা উপজেলার উত্তর ডিহি গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে মামুন মিয়া (৪৫), পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার দেলবাডী গ্রামের মতিউর রহমান ব্যাপারীর ছেলে জাহারুল ইসলাম (৪৫), একই উপজেলার কলারদনিয়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের স্ত্রী মারুফা বেগম (৩৫), খুলনার শিরোমনি এলাকার যোগীপোল গ্রামের মৃত লুৎফর রহমান আকনের ছেলে মোঃ লিটন (৪৭), দৌলতপুর উপজেলার পাবলা সাহাপাড়ার মৃত শচীন্দ্রনাথ কর্মকারের ছেলে বিপ্লব কর্মকার (৫০)।
যশোর ডিবি পুলিশের ওসি মনজুরুল হক ভূঁইয়া জানান, আটককৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য হিসেবে নিজেদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে একই কৌশলে প্রতারণা করে আসছিল। আটককৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ টিএ