খুলনা, বাংলাদেশ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪৫৮

বাড়ছে আতাই নদী পানি, ভাঙন আতঙ্কে নদীপাড়ের মানুষ

তেরখাদা প্রতিনিধি

তেরখাদা উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া আতাই নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।পানি বৃদ্ধি ও প্রবল স্রোতের কারণে কয়েকটি স্থানে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন। যে কোনো মুহূর্তে ওয়াপদা বাধ ভেঙে কয়েকটি বিল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। গত ৪/৫ বছর আগে এই নদীর তীরবর্তী পারহাজি গ্রাম নামক স্থানে ভাঙ্গন দেখা দেয়। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে পানি বাড়ার কারণে আতাই নদী সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকায় ভাঙ্গন শুরু হয়।

ইতোমধ্যে মধুপুর সুইচগেট, উত্তরপাড়া খাল, মোল্লাবাড়ি, পারহাজী গ্রাম সুইচগেট সংলগ্ন, পাটগাতি, লস্করপুর বাজার সংলগ্নের উত্তর পাশে ও মধুপুর শেখ বাড়ি কবরস্থানসহ বেশ কয়েকটি স্পর্টে দেখা দিয়েছে মারাত্মক ভাঙ্গন। ভাঙনের ফলে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে নদী পাড়ের মানুষেরা। গত ২৪ আগস্ট মধুপুর সুইচগেট সংলগ্নে পানির প্রবাল চাপে ওয়াপদা সড়কের উপর দিয়ে পানি উঠে যায়। স্থানীয় সমাজসেবক বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম মোড়লের নেতৃত্ব স্থানীয় লোকজন স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে মাটি ও বালু দিয়ে বাঁধ রক্ষা করেন। ওই স্থানে ভাঙ্গন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগও ফেলেছে।

এলাকাবাসী জানান, কয়েক বছর ধরে আতাই নদীর পানি বেড়ে মধুপুর ইউনিয়নের নদী সংলগ্ন এলাকায় নদীভাঙনে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। নদী ভাঙ্গনে আগ্রাসী হলে কারও কিছু করার থাকবে না। মুহূর্তেই বাড়িঘর,গাছপালাসহ কাঁচা বা পাকা স্থাপনা গ্রাস করে ফেলে। গত কয়েক বছরে নদী ভাঙনের পর যেটুকু সম্বল বেঁচে ছিল, এবারের ভাঙনের আশঙ্কায় নদীর তীরের হাজার হাজার পরিবার আবারও আতঙ্কে দিন পার করছে। অতি দ্রুত ঝুঁকিপূর্ণ ভাঙ্গন এলাকায় সংস্কারের ব্যবস্থা না হলে মারাত্মক পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে যখন তখন। তাই এলাকাবাসী ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড তেরখাদা উপজেলার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. সেলিম রেজা বলেন, মধুপুর সুইচগেট সংলগ্ন বাঁধে জিও ব্যাগ ফেলানো হয়েছে। পারহাজী গ্রামেরসহ ঝুঁকিপূর্ণ অন্যান্য স্পটে দ্রুত টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ শুরু হবে।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!