আড়াই কেজি পেঁয়াজ এখন একশ’ টাকা। যা গত একসপ্তাহ ধরে হকাররা মাইকিং করে পাড়া মহল্লায় ঘুরে বিক্রি করছেন। আগামীতে আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
নগরীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মানভেদে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। গত একসপ্তাহ আগেও এর বাজার দর ৫৫ থেকে ৬০ টাকা ছিল।
সোনাডাঙ্গাস্থ ট্রাক ট্রামিনালের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী ও মেসার্স বাণিজ্য ভান্ডারের কর্ণধর আব্দুল মালেক জানান, মুড়িকাটা পেঁয়াজের মৌসুম শেষ হয়েছে গত একসপ্তাহ আগে। বর্তমানে ভাতি পেঁয়াজ বাজার দখল করেছে। এ জাতের ফলন এবার ভাল হয়েছে। ফরিদপুরের মোকামগুলোতেও পেঁয়াজের আমদানি বেশী। সেখানে দাম কম হওয়ায় তাই এটির দাম কম। এবার রমজানেও এ পণ্যটির দাম বৃদ্ধি পাবে না বলে তিনি আরও জানিয়েছেন।
একই বাজারের ব্যবসায়ী ফারাজী ভান্ডারের মালিক মো: মোকাদ্দেস বলেন, অসময়ের বৃষ্টিকে অনেক কৃষকের পেঁয়াজ নষ্ট হয়েছিল। ফলে বাজারে পেঁয়াজের সংকট দেখা দেয়। যে কারণে গত এক থেকে দেড় মাস ধরে এ বাজার বেশ চড়া ছিল। ভাতি পেঁয়াজের বাম্পার ফলনে সে সংকট কেটে গেছে। বাজার দরও কিছুটা কম। গত একসপ্তাহ ধরে তিনি মানভেদে প্রতিকেজি দেশী পেঁয়াজ ২২ থেকে ৩২ টাকায় বিক্রি করছেন।
নগরীর টুটপাড়া জোড়াকল বাজারের ব্যবসায়ী আমিরুল বলেন, আমদানি বেশী হওয়াতে পেঁয়াজের দর বেশ পতন হয়েছে। গত সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি পেঁয়াজে ২০ টাকা কমেছে। ৬০ টাকার পেঁয়াজ এখন ৪০ টাকায় বিক্রি করছেন তিনি। এ দরে বিক্রি করতে তার বেশ লস হচ্ছে। বেশি দরে কিনে কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে তাকে।
বসুপাড়া এলাকায় কথা হয় জমিরুল নামে এক হকারের সাথে। তিনি বলেন, কাঁচা মালের দামের কোন গ্যারান্টি নেই। সকালে কম থাকলে বিকেলে আবার তা বেড়ে যায়। পাইকারী বাজারে এ পণ্যটি আমদানি বেশ। শুনেছি এবার ফলনও ভাল। তাই দাম কমতির দিকে।
নগরীর সান্ধ্য বাজারের ক্রেতা রহিম বলেন, প্রতিবছর রমজান এলে নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়ে যায়। এবারই দেখলাম ব্যতিক্রম যে পেঁয়াজের দাম কমেছে। প্রতিমাসে সংসারের জন্য ৫ কেজি পেঁয়াজের প্রয়োজন হয়। দাম কম হওয়াতে তিনি ১০ কেজি পেঁয়াজ কিনেছেন তিনি।
খুলনা গেজেট/ টি আই