বাজার কাদের নিয়ন্ত্রণে, সরকারের না ব্যবসায়ীদের? বর্তমান সময়ে সাধারণ মানুষের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন এটি। কারণ কোন কারণ ছাড়াই কোন পণ্যের দাম কখন যে বাড়বে এবং তা জনগনের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে, তা সম্ভবত: সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তা ব্যক্তিদেরও জানা নেই।
সম্প্রতি পেঁয়াজের পর চাল, মরিচ ও সর্বশেষ আলুর বাজার যেভাবে অস্থির হয়েছে, তা নজিরবিহীন। ভারত রপ্তানী বন্ধ করে দিলে রাতারাতি পেঁয়াজের দাম যেভাবে বেড়েছে তা এক প্রকার তুঘলকি কান্ডই বলা যায়। কারণ পর্যাপ্ত মজুত থাকা সত্ত্বেও দেশি পেঁয়াজের দামও ইচ্ছামত বাড়িয়েছে ব্যবসায়ীরা।
সরকার চালের মিল গেটে দাম নির্ধারণ করে দিলেও তা আমলেই নেয়নি ব্যবসায়ীরা। বরং দাম আরেক দফা বাড়িয়েছে। আর কাঁচা মরিচ তো সেঞ্চুরির পর সেঞ্চুরি করেছে!
সর্বশেষ আলু নিয়ে সরকারের ঘাম ঝরিয়ে ছেড়েছে এদেশের ব্যবসায়ীরা। ন্যায্য দাম না পেয়ে প্রতিবাদ হিসেবে যে আলু রাস্তায় ঢেলে কৃষকদের প্রতিবাদ করতে দেখেছে এ দেশের মানুষ, সে আলু নিয়ে এখন মিডিয়ায় নানা রম্যরচনা ও নাটক ভাইরাল হচ্ছে। সরকার দু’দফায় দাম নির্ধারণ করেও যেন দাম বাগে আনতে হিমশিম খাচ্ছে।
এসব ঘটনায় সংগত কারনেই সাধারণ মানুষের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, বাজার আসলে কাদের নিয়ন্ত্রণে? সুশীলরা সিন্ডিকেটের কথা বললেও এব্যাপারে দেশের প্রধান বিরোধীদল বিএনপি দোষারোপটা বরাবরই সরকারকেই করছে।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের বৃহস্পতিবার বলেছেন, ‘বাজারে আজ যে জিনিস ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, কাল তা বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ। যার প্রমাণ হল আলুর বাজার।’ জিএম কাদের বলেন, ‘আলু ছাড়াও চাল, ডাল, শাক-সবজি সবখানেই সিন্ডিকেটের ব্যবসা হচ্ছে। এটা কন্ট্রোল করা খুবই সহজ। এজন্য সরকারকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দেয়া উচিত।’
তবে ‘বাজারে সিন্ডিকেট আছে’ স্বীকার করে নিলেও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের শুক্রবার বলেছেন, সরকার সিন্ডিকেট মোকাবেলায় ব্যর্থ নয়।
খুলনা গেজেট / এমএম