খুলনা, বাংলাদেশ | ১২ মাঘ, ১৪৩১ | ২৬ জানুয়ারি, ২০২৫

Breaking News

  নরসিংদীতে আ.লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১
  মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল কে এম সফিউল্লাহ আর নেই
  সমালোচনার মুখে বাংলা একাডেমি পুরস্কারের তালিকা স্থগিত

বাজারে বোতলজাত সয়াবিনের সংকট , বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে

গেজেট ডেস্ক

রাজধানীর শেওড়াপাড়া বাজারে গতকাল দুপুরে বোতলজাত সয়াবিন তেল কিনতে যান হাসিনুর রহমান। ওই বাজারে পাঁচটি মুদিদোকান ঘুরে মাত্র একটি দোকানে দুই লিটারের সয়াবিন তেলের বোতল পান তিনি। তবে সেটিও কিনতে হয়েছে বোতলের গায়ে লেখা দামের চেয়ে ১৫ টাকা বেশিতে।

হাসিনুর রহমান বলেন, ‘আমার লাগত এক লিটারের সয়াবিন তেলের বোতল; কিন্তু কয়েক দোকান ঘুরেও তা পেলাম না। তাই বাধ্য হয়ে দুই লিটারের বোতলই কিনেছি।’

শুধু শেওড়াপাড়া নয়, রাজধানীর অন্যান্য খুচরা বাজারেও বোতলজাত সয়াবিন তেল মিলছে না বললেই চলে। আর দু-এক দোকানে পাওয়া গেলেও সেগুলোতে গায়ে লেখা দামের চেয়ে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি রাখছেন বিক্রেতারা।

খুচরা বিক্রেতা ও তেলের পাইকারি সরবরাহকারীরা বলছেন, মূলত ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলো বোতলজাত সয়াবিন তেল বাজারে কম ছাড়ছেন।

বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে বোতলজাত সয়াবিনের তীব্র সংকট হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ ক্রেতারা। ক্রেতা ধরতে অনেক বিক্রেতা এখন খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি শুরু করেছেন। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। খুচরা বিক্রেতা ও তেলের পাইকারি সরবরাহকারীরা বলছেন, মূলত ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলো বোতলজাত সয়াবিন তেল বাজারে কম ছাড়ছেন।

এ বিষয়ে তেল সরবরাহকারী একাধিক কোম্পানির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাঁদের আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

খুচরা বিক্রেতারা জানান, বাজারে সয়াবিনের এক, দুই ও পাঁচ লিটারের বোতলের সরবরাহ একেবারেই নেই বললে চলে। পরিবেশকদের কাছে বারবার তাগাদা দিয়েও তেল পাচ্ছেন না তাঁরা। শুধু দু-তিনটি কোম্পানি বোতলজাত সয়াবিন বাজারে ছাড়ছে; যা চাহিদার তুলনায় সামান্য। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, খুচরা পর্যায়ে বর্তমানে এক লিটার খোলা সয়াবিন ১৬৫-১৬৮ টাকা এবং এক লিটার খোলা পাম তেল ১৫৮-১৫৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বোতলজাত সয়াবিন তেলের সাম্প্রতিক সরবরাহ সংকট শুরু হয় সপ্তাহ তিনেক আগে। এরপর সরকার ভোজ্যতেল আমদানিতে শুল্ক–কর কমায়। এতে প্রতি কেজি ভোজ্যতেল আমদানিতে শুল্ক-কর ১০ থেকে ১১ টাকা কমেছে। কিন্তু সরকার শুল্ক-কর কমালেও আমদানি বাড়েনি; বরং বাজারে বোতলজাত তেলের সংকট তৈরি হয়েছে। এম অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার ভোজ্যতেল পরিশোধন কোম্পানিগুলোকে নিয়ে এক সভা করে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি)। সভায় ব্যবসায়ীরা জানান, আসন্ন রমজান উপলক্ষে যে পরিমাণ সয়াবিন তেল আমদানি হওয়ার কথা (ঋণপত্র খোলা), তা স্বাভাবিক পর্যায়ে রয়েছে। তবে বিশ্ববাজারের দামের সঙ্গে সংগতি রেখে দেশের বাজারেও ভোজ্যতেলের দাম সমন্বয় করা প্রয়োজন।

গতকালের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) ও ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএবি) প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি কমিটি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্যারিফ কমিশন। শুল্ক কমানোর পরও কেন ভোজ্যতেলের দাম কমছে না, সেটি দ্রুততম সময়ে পর্যালোচনা করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দেবে কমিটি।

 

খুলনা গেজেট/এইচ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!