সুন্দরবনের লোকালয়ে বেড়ে গেছে বাঘের আনাগোনা। প্রায়ই বাঘের আক্রমণের শিকার হচ্ছে খেটে খাওয়া বনজীবিসহ সাধারণ মানুষ। বাঘের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে সনাতন ধর্মালম্বীরা ঈশ্বরের নিকট প্রার্থনা করেছেন।
গত কিছুদিন আগে জিউধার ফরেস্ট এলাকায় আমুড়বুনিয়া গ্রামের অনুকুল গাইন নামে এক বনজীবি বাঘের আক্রমনের শিকার হয়ে ২১ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। চান্দেশ্বর টহল ফাড়ির ভেতরে এক সঙ্গে তিনটি বাঘকে ঘুরা ঘুরি করতে দেখা যায়।
বাঘ আতঙ্ক যেন কাটছেইনা উপকূলীও এলাকার বনজীবিসহ সাধারণ মানুষের । দিন রাত মিলিয়ে স্থানীয় ফরেস্টের সহায়তায় পাহারা বসিয়ে অনেকটা আতঙ্কে সময় পার করছেন বনের পাশে থাকা স্থানীয়রা।
শুক্রবার ২৪ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে দুপুর পযন্ত কাটাখালি ফরেস্ট এলাকায় বাঘের আক্রমণ থেকে রক্ষাপেতে ইশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে বন দেবীর পূজা করেছেন স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীর বিভিন্ন বয়সের মানুষেরা।
জাউধার ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা মো: শাজাহান মুক্তাদির জানান, আমার কর্মস্থল এলাকার এপযন্ত পাঁচজন বিভিন্ন সময়ে বাঘের আক্রমণের শিকার হয়েছেন। সবগুলোই ঘটনাই শুক্রবারে ঘটেছে। এর মধ্যে ৩ জন মারা গিয়েছেন দুজন ক্ষত চিহ্ন নিয়ে বেঁচে আছেন। আজ শুক্রবার সকাল হতে দুপুর পর্যন্ত কাটাখালি এলাকায় সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষেরা বনদেবীর পূজায় মিলিত হয়েছিলেন। বাঘের আক্রমণ থেকে রক্ষায় তারা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছেন।
তিনি আরও জানান বর্তমান সময়ে বাঘেদের প্রজনন মৌসুম চলায় সঙ্গিনিদের খুজতে খুজতে অনেক সময় তারা লোকালয়ের দিক চলে আসে। তখনি অসাবধানতার বসত অনেকে বাঘের আক্রমণের শিকার হচ্ছে। এ ব্যাপারে আমারা মানুষকে সচেতনতা বৃদ্বির লক্ষে প্রচার প্রচারণা করে যাচ্ছি এবং বন এলাকায় স্থানীয়দের নিয়ে পাহারার ব্যবস্থা জোরদার করেছি।
খুলনা গেজেট/ এসজেড