যশোরের বাঘারপাড়ার নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বাবলু সাহার সমর্থকদের উপর হামলা চালিয়েছে আনারস প্রতীকের আবু তাহের আবুল সরদারের সমর্থকরা। এ সময় নৌকার নির্বাচনী অফিস ভাংচুর ও তিন সমর্থককে পিটিয়ে আহত করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার রাত পৌনে ১২টায় ইউনিয়নের মালঞ্চী গ্রামে।
ইউনিয়নের নৌকার সমর্থকরা জানায়, রোববার রাত পৌনে ১২ টার দিকে নৌকার সমর্থক মালঞ্চী গ্রামের মোক্তার হোসেন মোটরসাইকেলযোগে ৫০ গজ দূরের মালঞ্চী স্কুলমাঠ সংলগ্ন আরেকটি নৌকার অফিসে যাচ্ছিলেন। এ সময় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবুল সরদারের সমর্থকরা তাকে ধরে পিটিয়ে আহত করে। খবর পেয়ে নৌকার কয়েকজন সমর্থক এগিয়ে এলে তাদের ওপরও হামলা চালায় আনারস প্রতীকের সমর্থকরা। হামলাকারীরা একই সাথে মালঞ্চী গ্রামের নৌকার নির্বাচনী কার্যালয় ভাংচুর করে। এ সময় আহত হন নৌকার কর্মী মালঞ্চী গ্রামের সাত্তার মোল্লার ছেলে শিমুল ও আব্দুল লতিফের ছেলে তরিকুল ইসলাম। আহতদের বাঘারপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে তরিকুলের বুকে ও মোক্তার হোসেনের মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়ায় তাদেরকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বাবলু কুমার সাহা অভিযোগ করেন, আনারস প্রতীকের প্রার্থী আবু তাহের আবুল সরদারের নির্দেশে ৮ নং ওয়ার্ডের মেম্বর প্রার্থী আলতাফ হোসেনের নেতৃত্বে ১৫/২০ জন এ হামলা চালিয়েছে। তারা নৌকার নির্বাচনী কার্যালয় ভাংচুর ও তার কর্মীদের মারপিট করেছে। হামলাকারীরা বিএনপি-জামাতের নেতাকর্মী বলেও উল্লেখ করেন বাবলু সাহা। আনারস প্রতীকের প্রার্থী আবু তাহের আবুল সরদার ও মেম্বর প্রার্থী আলতাফ হোসেনের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বাঘারপাড়া হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সুমাইয়া রহমান জানান, আহত তিনজনের মধ্যে তরিকুল ও মোক্তারের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
বাঘারপাড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ উদ্দীন বলেন, এ ঘটনায় পুলিশের একটি টিম কাজ করছে। পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। অপরাধী কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে তিনি জানান।