বাঘারপাড়া উপজেলা পরিষদের উপ-নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ফের পাল্টাপাল্টি নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার সন্ধ্যা ও রাত ১০টা দিকে যথাক্রমে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (আনারস) এবং আওয়ামী লীগের প্রার্থীর (নৌকা) নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এতে নির্বাচনী এলাকাটিতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে দাবি করেছে থানা পুলিশ।
আগামী ১০ ডিসেম্বর বাঘারপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে। উপজেলা চেয়ারম্যান কাজল সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হলে পদটি শূন্য হয়। এই নির্বাচন নিয়ে ইতিমধ্যে নানা ঘটনা ঘটছে বাঘারপাড়ায়। প্রতিদ্বন্দ্বী তিন প্রার্থী গেল দুই দিনে যশোরে সংবাদ সম্মেলনে এসে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে ধরেছেন।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে উপজেলার বহরমপুরে আনারস প্রতীকের নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এর পাল্টা হিসেবে রাত ১০টার দিকে ওই এলাকার ছোট মহরমপুরে নৌকা প্রতীকের কার্যালয় ভাঙচুর হয়। এ ঘটনায় একপক্ষ অন্য পক্ষকে দায়ী করেছে।
এ ব্যাপারে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ভিক্টোরিয়া পারভিন সাথীর দেবর ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম টুটুল বলেন, ছোট বহরমপুরে আমাদের নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করেছে আনারস প্রতীকের সমর্থকরা। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অরুণ অধিকারীর ছেলের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়। ওই সময় তাপস নামে নৌকা প্রতীকের এক কর্মীর বাড়ির বিচালিতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, আনারস প্রতীকের প্রার্থী দিলু পাটোয়ারী অভিযোগ করেন, নৌকা প্রতীকের কর্মী শামছুর ছেলে রোমানের নেতৃত্বে তার নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর করা হয়। আনারস প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত জেনে নৌকার লোকজন উদ্দেশ্যমূলকভাবে একের পর এক হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে। শুক্রবারের ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান দিলু পাটোয়ারী।
এসব ব্যাপারে বাঘারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আল মামুন জানান, এসব ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে আছে বলেও তিনি দাবি করেন।
খুলনা গেজেট /এমএম