খুলনা, বাংলাদেশ | ৫ আশ্বিন, ১৪৩১ | ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৮৮৭
  ঢাবির হলে পিটিয়ে যুবককে হত্যা: ছাত্রলীগ নেতাসহ আটক ৩, তদন্ত কমিটি গঠন
  বেক্সিমকো গ্রুপের সব সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রিসিভার নিয়োগ দিতে পূর্ণাঙ্গ রায়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট

বাঘারপাড়ার সাবেক এমপি রনজিৎ ও এসপি আনিসসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

যশোরের সাবেক এমপি রনজিৎ কুমার রায় ও পুলিশ সুপার আনিছুর রহমানসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চাঁদাবাজি মামলা হয়েছে। বাঘারপাড়া উপজেলার বিএনপির এক নেতাকে বাড়ি থেকে তুলে থানায় নিয়ে চাঁদা দাবি ও টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় পায়ে গুলি করার অভিযোগে আদালতে এ মামলা হয়েছে। ঘটনার আট বছর পর মামলাটি করেছেন বাঘাপাড়া নলডাঙ্গা গ্রামের মৃত নেছার আলীর ছেলে ভিকটিম আবু ঈসা।

মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম (খ-সার্কেল), বাঘাপাড়া থানার তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ ছয়রুদ্দীন আহম্মেদ, এসআই হান্নান শরীফ, এসআই সোহাগ, এএসআই মাসুদুর রহমান, এএসআই শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল আবু তালেব, সেলিম, আবু সাইদ, মাহাবুবু আলম, নলডাঙ্গা গ্রামের মফেজ গাজীর ছেলে ইউনুস, মৃত খালেক বিশ্বাসের ছেলে বাকু বিশ্বাস, কৃষ্ণনগরের বদর মন্ডলের ছেলে সালাম মন্ডল। অভিযোগ আমলে নিয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল সিআইডি যশোর জোনকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী রুহিন বালুজ।

মামলায় বাদী আবু ঈসা বলেছেন, তিনি বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। ২০১৬ সালের ১০ জুন রাত ১০ টার দিকে বাঘারপাড়া আসনের তৎকালীন এমপি রণজিৎ কুমার রায়, ইউনুস, বাকু বিশ্বাসের ইন্দনে একদল পুলিশ তার বাড়িতে হানা দেয়। পরে জোর করে তাকে বাঘারপাড়া থানায় নিয়ে যান। একই সাথে আবু ঈসার পরিবারকে থানায় যেতে বলেন। পরে স্বজনরা থানার ওসির সাথে কথা বললে তিনি জানান, ১০ লাখ টাকা লাগবে অন্যথায় ঈসাকে ক্রস ফায়ারে দেয়া হবে। বাধ্য হয়ে স্বজনেরা দুই লাখ টাকা ওসির হাতে তুলে দেন। ওই টাকা পুলিশ গ্রহন করে ও বাকি আট লাখ টাকার জন্য চাপ দিতে থাকেন। এ টাকা দিতে না পারায় থানা থেকে বের করে দেয় আবু ঈসার পরিবারকে। এরপর মধ্যরাতে ঈসাকে নিয়ে বাঘারপাড়ার তেলিধান্যপোড়া গ্রামের একটি ইটভাটার পাশে নিয়ে ডান পায়ে গুলি করে ফেলে রেখে চলে যায়। রাত ৩টা ৫০ মিনিটে খবর পেয়ে সাইদের পরিবার ইসাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।

অন্যদিকে পুলিশ ঈসার নামে থানায় একটি অস্ত্র মামলা দায়ের করে। এরপর ইসাকে পুলিশি পাহারায় রেখে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে ডান পায়ের উপর থেকে কেটে ফেলে দেয়। এছাড়া, হাসপাতালের সকল কাগজপত্র পুলিশ ছিনিয়ে নেয়। এসব বিষয়ে মামলা করলে ঈসাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। বাধ্য হয়ে তারা এতদিন নিশ্চুপ ছিলেন। পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক হওয়ায় তিনি আদালতে বৃহস্পতিবার এ মামলা দায়ের করেন।

খুলনা গেজেট/কেডি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!