বাগেরহাটে গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাড়ালো ৭৯ জন। নুতন করে আরও ৪১২টি নমুনা পরীক্ষায় ১৭৭ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় সংক্রমণের হার ৪২ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
এদিকে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বাগেরহাটে চলছে লকডাউনের চতুর্থ দিন। শুরু হওয়া এই লকডাউন ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে। লকডাউনের ফলে বাগেরহাটে দূরপাল্লার পরিবহনসহ সব গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় লোকজনের চলাচল বন্ধ আছে।
জেলার প্রবেশদ্বারসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোষ্ট বসানো হয়েছে। আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে টহল দিচ্ছে। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হলেই আইনশৃংখলা বাহিনীর জেরার মুখে পরতে হচ্ছে জনসাধারণদের। বাগেরহাট পৌর এলাকাসহ জেলায় টহল দিচ্ছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ১০টিম। স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ১০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত গত ২৪ ঘন্টায় মোট ৬৩ জনের কাছ থেকে ৩১ হাজার ৬৫০ টাকা জরিমানা আদায় করেছে।
জরুরি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো গুলো ছাড়া লকডাউন এর প্রথম দিন থেকে জেলায় অভ্যন্তরীণ ১৬টি রুটে সব ধরনের যাত্রীবাহী গণপরিবহন ও দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। বাগেরহাট শহর ও উপজেলা সদরে অধিকাংশ চায়ের দোকানসহ মাঝে মধ্যে দুই একটি দোকান খোলা দেখা গেছে।
কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদির দোকান (কাঁচা ও মাছ বাজার) খাবারের দোকান, ওষুধের দোকান জরুরি রোগী আনা নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সসেবা চালু রয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত স্থানীয়দের কেনাকাটার জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকান খোলা রয়েছে।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কেএম হুমায়ুন কবির জানান, গত ২৪ ঘন্টায় বাগেরহাটে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাড়ালো ৭৯ জন। নুতন করে আরও ৪১২টি নমুনা পরীক্ষায় ১৭৭ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় সংক্রমণের হার ৪২ দশমিক ৯৬ শতাংশ। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাড়াল ৩ হাজার ৫৯ জনে। এপর্যন্ত মারা গেছে ৭৯ জন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৩৩ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ২ হাজার ১৯৯ জন।
খুলনা গেজেট/এনএম