বাগেরহাটে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং পরবর্তীতে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে জীবনযাত্রা । মঙ্গলবার সকাল থেকে আকাশ পরিষ্কার ও রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া বিরাজ করছে। রাস্তাঘাটে চলাচল বেড়েছে মানুষের। স্বাভাবিক হয়েছে যান চলাচল।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাগেরহাট জেলায় ৫২৫টি মৎস্য ঘের ও ২২৫ টি পুকুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা মৎস কর্মকর্তা এসএম রাসেল । জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায় ১ হাজার ৩৮৫ হেক্টর ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, বাগেরহাটে ৩৪৪ টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়। এসব আশ্রয় কেন্দ্রের প্রায় ৭০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল তাদের তাদের প্রায় সকলের বাড়ি ফিরেছে।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে আশঙ্কা করা হয়েছিল ৫-৬ ফিট জলোচ্ছ্বাসের পানি উঠবে, আলহামদুলিল্লাহ তেমনটা হয়নি। তবে গত তিন দিন ধরে চলা বৃষ্টিতে বেশ কিছু এলাকায় পানি জমেছে। এতে মৎস্য ঘের, সবজি ও কৃষি ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
তবে ঘূর্ণিঝড়ে জেলার কোথাও প্রাণহানি বা বড় ধরনের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি জানিয়ে আজিজুর রহমান বলেন, সোমবার বিকাল থেকে সন্ধ্যারত পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় ও দমকা ঝড়ো বাতাসে বাগেরহাটের বিভিন্ন উপজেলাতে অসংখ্য গাছপালা উপড়ে ও ভেঙে পড়ে। রাতের মধ্যেই সড়কের উপর থেকে গাছপালা অপসারণ করা হয়েছে। মোবাইল নেটওয়ার্ক ও বিদ্যুৎ সেবাও সচল হতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে শহর অঞ্চলের সব এলাকায় বিদ্যুৎ সঞ্চালন স্বাভাবিক হয়েছে। আজকের মধ্যে গ্রামাঞ্চলের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হবে বলে আশা তার।
খুলনা গেজেট/ এসজেড