করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় লোকসমাগম এড়াতে বাগেরহাট জেলায় সাত দিনের লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার (২৩ জুন) বিকেল পাঁচটায় জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির জরুরি সভা শেষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ আজিজুর রহমান এই ঘোষণা দেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) সকালে শুরু হওয়া এই লকডাউন ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত এই লকডাউন কার্যকর থাকবে। লকডাউনের ফলে বাগেরহাটে গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় লোকজনের চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে কৃষি পণ্য পরিবহন ও জরুরি সেবায় নিয়োজিত কর্মীরা এর আওতামুক্ত থাকবে।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ আজিজুর রহমান বলেন, জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির জরুরি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এই লকডাউন ৩০ জুন মধ্য রাত পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। লকডাউনের বিধি নিষেধের বিষয়ে বিস্তারিত প্র্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানানো হবে। মাইকিংসহ বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে লককডাউন মান্য করার জন্য প্রচার করা হবে। লকডাউন না মানলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
বাগেরহাটের করোনা পরিস্থিতিঃ
বাগেরহাটে গেল ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৬০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এই সময়ে মারা গেছে তিন জন। এই নিয়ে বাগেরহাটে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাড়িয়েছে ২ হাজার ৭৫২ জনে। মারা গেছেন ৭৩ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৮৪৩ জন। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৮৩৫ জন।
এদিকে জেলার কচুয়া শাখার সোনালী ব্যাংকের ১১ কর্মকর্তার ৮ জন করোনায় আক্রান্ত। কচুয়া সোনালী ব্যাংকের কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে কৃর্তৃপক্ষ। ব্যাংকের এই শাখার ১১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে নমুনা পরীক্ষায় ৮ জনের করোনা শনাক্ত হওয়ায় বুধবার (২৩ জুন) এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সোনালী ব্যাংক লিমিটেড কচুয়া শাখার ব্যবস্থাপক সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার রবীন্দ্র নাথ গাইন বলেন, ‘সিকিউরিটি গার্ডসহ আমাদের শাখায় মোট ১১ জন ষ্টাফ রয়েছে। এর মধ্যে ৮ জন করোনা আক্রান্ত। একজন সিকিউরিটি গার্ড, একজন ক্যাশ অফিসার ও আমি সুস্থ রয়েছি। যার ফলে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে ব্যাংকের কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। সুধু সরকারি লেনদেন চলবে।’ তবে খুবই জরুরী হলে গ্রাহকদের টাকা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
খুলনা গেজেট/ এস আই