বাগেরহাটে এক শিক্ষকের বাড়িতে সংঘবদ্ধ হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় আহত হয়েছে পাঁচজন। জীবন বাঁচাতে ওই শিক্ষক ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ এসে হামলাকারীদের আটক করে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার (১৯ আগস্ট) ভোর ৫টার দিকে বাগেরহাট সদর উপজেলার কাড়াপাড়া ইউনিয়নের ফুলতলা পশ্চিমপাড়া গ্রামে। হামলার শিকার শিক্ষক সুশান্ত দাস ফুলতলা পশ্চিমপাড়া গ্রামের অনিল চন্দ্র দাসের ছেলে এবং আনার ডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক তিনি।
স্থানীয়ভাবে জানাগেছে, ভোররাতে আছাদুজ্জামান ওরফে টিপু হাওলাদারের নেতৃত্বে ১৮/২০ জনের একটি দল শিক্ষক সুশান্ত দাসের বাড়িতে হামলা চালায়। তাদের হামলায় শিক্ষক সুশান্ত দাস, তার সন্তান সম্ভাবা স্ত্রী কনিকা দাস (২৮), ভাই বিশ্বজিত দাস শুকদেব দাস ও নিকট আত্মীয় রিংকি দাসসহ পাঁচ জন আহত হয়েছে। হামলাকারীরা ঘরে থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার লুট করে। জীবন বাঁচাতে ওই শিক্ষক ৯৯৯-এ ফোন করলে ও চিৎকার দিলে স্থানীয়রা এসে হামলাকারীদের মধ্যে ১২ জনকে আটক করে এবং পরবর্তীতে ওই শিক্ষকের মামলায় পুলিশ আটক ১২ জনকে গ্রেফতার করে। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা বাগেরহাট সদর ও কচুয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। তারা হলেন, আছাদুজ্জামান ওরফে টিপু হাওলাদার (৪৫), বেনজীর আহমেদ (৪৯), ফেরদাউস হাওলাদার (৩৩), নুর নবী (২১), হাফিজ হাওলাদার (৪০), আবু হানিফ খান (৩৬), মো. সাকিব ফকির (২০), সাফায়েত মোল্লা (৪১), মাহতাব খান (২৩), আব্দুল গাফফার শেখ (৪৪), মোতালেব খান (৬০), শামীম শেখ (১৯)।
আহত শিক্ষক সুশান্ত দাস বলেন, আছাদুজ্জামান ওরফে টিপু হাওলাদার কয়েক বছর ধরে আমাকে জমি থেকে উচ্ছেদের পায়তারা চালাচ্ছে। বিরোধীয় জমি নিয়ে রেকর্ড সংশোধনের মামলা চলমান রয়েছে। আজ ভোররাতে হঠাৎ করে আছাদুজ্জামান ওরফে টিপু হাওলাদারের নেতৃত্বে ১৮/২০ জনের একটি দল আমাদের উপর হামলা চালায়। তাদের হামলায় আমি, আমার স্ত্রীসহ পাঁচ জন আহত হয়েছি। হামলাকারীরা ঘরে থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও বেশকিছু মূল্যবান মালামাল নিয়ে গেছে।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন, ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে অভিযান চালিয়ে আমরা ১২ জনকে আটক করেছি। এই হামলার ঘটনায় ওই শিক্ষক আটক ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৭-৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
খুলনা গেজেট/এমএনএস
