মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় তৃতীয় পর্যায়ে ঈদ উপহার হিসেবে বাগেরহাট জেলার ৬৬২ ভূমিহীন পরিবার জমিসহ ঘর পাচ্ছেন। ইতোমধ্যে ভূমিহীনদের জন্য টিনসেড পাকা ঘর তৈরি সম্পন্ন করেছে জেলা প্রশাসন। দুই শতাংশ জমিসহ দৃষ্টিনন্দন পাকা ঘর অপেক্ষা করছে হতদরিদ্রদের জন্য । আগামী ২৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে দরিদ্র পরিবার গুলোর মাঝে এই ঘর হস্তান্তর করবেন।
বাগেরহাট জেলা প্রশাসন সূত্রে জানাযায়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীনে সারা দেশে ভূমিহীন, ভিক্ষুক ও হতদরিদ্র মানুষদের জমিসহ ঘর প্রদান করছেন সরকার। প্রকল্পের ৩য় পর্যায়ে বাগেরহাট জেলায় ১ হাজার ৯৩জনটি ঘর বরাদ্দ দিয়েছেন সরকার। এর মধ্যে ৬৬২টি ঘর নির্মান সম্পন্ন করা হয়েছে। নির্মান সম্পন্ন হওয়া ঘরের মধ্যে বাগেরহাট সদর উপজেলায় ৭০, মোংলায় ১৪৫, মোরেলগঞ্জে ১৮১, কচুয়ায় ২৩, ফকিরহাটে ৮০, মোল্লাহাটে ৭০, রামপালে ৬০, চিতলমারী ২৮টি এবং শরণখোলা উপজেলায় ৫টি ঘর রয়েছে। এছাড়া আগামী জুনের মধ্যে বরাদ্দকৃত অবশিষ্টঘর উপকার ভোগীদের মাঝে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন। এদিকে ঈদের আগে পাকা ঘরে ওঠার সংবাদে খুশি উপকারভোগীরা।
দুই শতাংশ জমিতে নির্মান করা প্রতিটি ঘরে বাড়িতে দুটি বেড রুম, একটা কিচেন রুম, একটা ইউটিলিটি রুম, একটা টয়লেট ও একটা বারান্দা রয়েছে। বারান্দার সামনে ফাকা জায়গাও রয়েছে। দুর্যোগ সহনীয় এসব ঘর হবে টেকসই এবং প্রতিটি ঘরেই থাকবে সোলার সিস্টেম আর বজ্রপাত নিরোধক ব্যবস্থা। প্রতিটি সেমিপাকা ঘরের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লক্ষ ৫৯ হাজার টাকা। এসব ব্যারাকে বসবাসরত দ্রুত সবধরণের নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে আসে পাশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মান, মসজিদ-মন্দিরসহ ধর্মীয় উপাষনালয়, খেলার মাঠ, ফুল-ফলের বাগান করার পরিকল্পনা রয়েছে জেলা প্রশাসনের। সেই সাথে সুপেয় পানির প্রাপ্ত নিশ্চিত করতে বসানো হয়েছে নলকুপ।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ শাহিনুজ্জামান বলেন, আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় ৩য় পর্যায়ে বাগেরহাটে ১০৯৩টি ঘর বরাদ্দ ছিল। ইতোমধ্যে মধ্যে ৬৬২টি ঘর আমরা সম্পন্ন করেছি। ২৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী এসব ঘর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন। ওইদিনই আমরা উপকারভোগীদেরকে তাদের ঘর বুঝিয়ে দিব। পর্যায়ক্রমে বরাদ্দকৃত অন্য ঘরও ভূমিহীন হতদরিদ্রের মাঝে প্রদান করা হবে।