বাগেরহাট সদরের খাঁনপুর ও ফকিরহাটের শুভদিয়া এবং বেতাগা ইউনিয়নের উপর দিয়ে ব্রিটিশ আমলে নির্মিত দুইটি গুরুত্বপূর্ণ ও জনবহুল কাঁচা-পাকা রাস্তা এখন সম্পূর্ণ চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা দিয়ে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের হাজার হাজার পথচারী চলাচল করে। মেরামত বা সংস্কার না করায় রাস্তা দুইটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টিতে হয় কাদা। অতিদ্রুত রাস্তা দুইটি মেরামত করা না হলে তা বিলিন হয়ে যাওয়ার আশাংকা রয়েছে।
জানা গেছে, ফকিরহাটের বেতাগা ইউনিয়নের বেতাগা পশু হাসপাতাল অথার্ৎ ভেড়ার খামার এর সামনে দিয়ে এই রাস্তাটি হৃষিপাড়া চৌরাস্তার মোড় হতে সোজা শুভদিয়া ইউনিয়নের ঘনশ্যামপুর স্কুলের পাশে তেমাথায় গিয়ে মিশেছে। এই রাস্তাটি ব্রিটিশ আমলে তৈরী করা হয়েছিল। যা ১২ ফুট চওড়া এবং প্রায় ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ। রাস্তাটি সম্পূর্ণ মাটি দিয়ে তৈরী এবং বেতাগা ৫নং ওয়ার্ডবাসিসহ বিভিন্ন জনসাধারণ চলাচল করে থাকেন। ব্রিটিশ আমলে লখপুর পিলজংগ বেতাগা ও শুভদিয়া ইউনিয়নের লোকজন চুলকাটি বাজারে অসা-যাওয়ার একমাত্র পথ ছিল এটি।
স্থানীয়রা বলেছেন, স্বাধীনতার পর খানপুর বেতাগা লখপুর শুভদিয়া অঞ্চলের অধিকাংশ জনগন এই পুরাতন রাস্তাটি ব্যবহার করতো। কিন্তু কালক্রমে রাস্তাটি মেরামত বা সংস্কার না করায় রাস্তাটির দুই পাশের ভূমিদস্যুরা তা দখল করে নিয়েছেন। যে কারণে রাস্তাটি ছোট হয়ে পড়েছে। শুধু তাই নয়, রাস্তার পাশে বসবাসকারী এক শ্রেনীর ব্যক্তিরা রাস্তার মাটি কেটে সেখানে নিজেদের জমি বানিয়ে গাছপালা লাগিয়ে ভোগদখল করে নিয়েছেন।
অপরদিকে চুলকাটি বাজারের মধ্যদিয়ে পুরাতন পুলিশ ফাঁড়ি পর্যন্ত প্রায় আধা কিলোমিটার একটি কাঁচা রাস্তা রয়েছে। যে রাস্তাটি ব্রিটিশ আমলে নির্মাণ করা হয়েছিল। সেই রাস্তাটি স্বাধীনতার পর স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর কয়েক দফায় ইটের সলিং বসালেও তা ভেঙে এখন তা কাঁচা রাস্তায় পরিণত হয়েছে। এই রাস্তাটি দিয়ে চুলকাটি মুসলিমা দাখিল মাদ্রাসা ও চুলকাটি পলাশ কিন্ডার গার্ডেন স্কুলের শতশত শিক্ষার্থীরা চলাচল করে আসলেও সংস্কার বা মেরামতের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছেনা। যে কারণে রোদ বৃষ্টি ঝড়ে শতশত মানুষ চরম জনদুভোগের মধ্যে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন। অতিদ্রুত জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ এই ব্রিটিশ আমলে নির্মিত দুইটি রাস্তা পূণঃ নির্মাণ করার জন্য উর্দ্ধতন কর্মকতার্দের হস্তক্ষেপ করেছেন এলাকাবাসি।