বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে পর্ণোগ্রাফি আইনে এনায়েত করিম ওরফে রাজিব (৩৫) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রবিবার রাতে মোরেলগঞ্জ উপজেলা সদরের খেয়াঘাট এলাকার বিকাশের দোকান থেকে রাজিবকে গ্রেফতার করে পুলিশ। একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মামলাটি দায়ের করেন।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সোমবার দুপুরে রাজিবকে আদালতে সোপর্দ করেছে মোরেলগঞ্জ থানা পুলিশ। গ্রেফতার রাজিব মোরেলগঞ্জ উপজেলার বারুইখালি গ্রামের একেএম মজিদের ছেলে।
মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন, একজন স্কুল শিক্ষিকা তার সাবেক স্বামী এনায়েত করিম ওরফে রাজিবের বিরুদ্ধে পর্ণোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করেন।
মামলায় উল্লেখ করেন, স্ত্রী থাকা অবস্থায় তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে এনায়েত করিম বেশকিছু আপত্তিকর ছবি ধারণ করে রাখেন। এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় বছর দুই আগে এনায়েত করিম ওই শিক্ষিকাকে তালাক প্রদান করেন। এরপর এনায়েত করিমের কাছে থাকা সেই আপত্তিকর ছবি প্রিন্ট করে বিভিন্ন দপ্তর ও গনমাধ্যমকর্মীদের কাছে প্রেরণ করেন। বিভিন্ন মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে।
এ ঘটনা উল্লেখ করে ওই শিক্ষিকা বাদী হয়ে সাবেক স্বামী এনায়েত করিমের নাম উল্লেখসহ আরও দুই তিনজনকে অজ্ঞাত আসামী করে মামলা দায়ের করলে আমরা আসামী রাজিবকে গ্রেফতার করেছি। দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় অন্য যারা জড়িত রয়েছে তদন্ত পূর্বক তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।
মামলার বাদী ওই শিক্ষিকা বলেন, আমি একজন শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা অবস্থায় এনায়েত করিম রাজিব বিভিন্ন ভাবে সামাজিক, মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করত। এমন কোন খারাপ কাজ নেই তিনি করেন নি। মোটা অংকের টাকার দাবিতে আমার ফেসবুক আইডিতে আজেবাজে কমেন্টস করে এবং ৪টি মুঠোফোন নাম্বার দিয়ে বিভিন্ন সময় চাঁদা দাবি করত। শেষ পর্যন্ত আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য বিভিন্ন দপ্তর ও গনমাধ্যমে আমার আপত্তিকর ছবি প্রেরণ করেছেন। আমি এই প্রতারকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। যে শাস্তির মাধ্যমে কোন পুরুষ নামের প্রতারক এভাবে নারীদের সম্মান নষ্ট করার সাহস না পায়।’