খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮৮৬

বাগেরহাটে ডেয়ারী খামারে আগুন : দগ্ধ ১৫ গরু, মৃত ১ (ভিডিও)

নিজস্ব প্রতিবেদক,বাগেরহাট

বাগেরহাটে দূবৃত্তের আগুনে একটি ডেয়ারি খামারের ১৬টি গরু দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে একটি গরু মারা গেছে। এছাড়া বেশকিছু গাভী আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে। বুধবার (০১ মার্চ) গভীর রাতে সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের চাপাতলা গ্রামের নাজমুল আলম রুবেলের মালিকানাধীন শেখ ডেইরি ফার্মে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি খামার মালিকের।

ক্ষতিগ্রস্থ খামার মালিক নাজমুল আলম রুবেল (৩৭) চাপাতলা গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে। রুবেল দীর্ঘদিন কোরিয়া ছিলেন। কোরিয়া থেকে দেশে ফিরে গরুর ফার্ম করেন। তার ফার্মে প্রতিদিন ৯০ লিটার দুধ উৎপাদন হত। মিল্ক ভিটা কোম্পানিকে তিনি দুধ সরবরাহ করতেন।

এদিকে গরুর ফার্মে আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন প্রানি সম্পদ বিভাগ খুলনা বিভাগীয় পরিচালক ডা. লুৎফর রহমানসহ প্রানি সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তাগণ।

প্রাণি সম্পদ বিভাগ বাগেরহাটের মাঠকর্মী তারিক হোসেন বলেন, খবর শুনে আমরা উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষসহ ঘটনাস্থলে পৌছায়। দগ্ধ গরু গুলোকে সেবা প্রদান করি। বেশিরভাগ গরুগুলোর শ্বাসনালীসহ শরীরের বিভিন্ন স্থান আক্রান্ত হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্থ খামার মালিক নাজমুল আলম রুবেল বলেন, গরু গুলো ফার্মে ছিল। রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়েছিল। হঠাৎ রাত ১১টার দিকে কুকুরের ডাকাডাকিতে আমাদের ঘুম ভেঙ্গে যায়। পরে গোয়ালে এসে গরুর দড়ি খুলে দিয়ে বাইরে বের করার চেষ্টা করি। ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এসে পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। ততক্ষনে সবগুলো গরুই কমবেশি আগুনে দগ্ধ হয়। পরে একটি গরু মারা যায়। পরিকল্পিতভাবে পূর্ব শত্রুতার জেরে আমাদের গোয়ালে আগুন দেওয়া হয়েছে। তদন্ত পূর্বক সুষ্ঠ বিচার দাবি করেন প্রবাস ফেরত এই উদ্যোক্তা।

তিনি আরও বলেন, গরু গুলো আক্রান্ত হয়ে আমার প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়ে গেল। নিস্ব হয়ে গেলাম। ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের টাকা কিভাবে পরিশোধ করব বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন এই তরুন উদ্যোক্তা।

নাজমুল আলম রুবেলের বাবা রুহুল আমিন বলেন, ছেলে বিদেশ থেকে ফিরে আসলে ব্যাংক ঋণ নিয়ে তাকে খামার করে দিয়েছিলাম। গরুগুলো আক্রান্ত হয়ে আমরাতো নিস্ব হয়ে গেলাম। এই অবস্থায় সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন এই বৃদ্ধ বাবা।

খুলনা বিভাগীয় পরিচালক ডা. লুৎফর রহমান বলেন, বিভিন্ন বয়সের ১৬টি গরু আক্রান্ত হয়েছে। একটি গরু মারা গেছে। কয়েকটি গরুর শতভাগ চামড়া পুড়ে গেছে। ভ্যাটেনারি সার্জনসহ আমরা সবাই মিলে আক্রান্ত গরুর চিকিৎসার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। আক্রান্ত গরু গুলোর সার্বিক খোজ খবর নেওয়া হচ্ছে।

খুলনা গেজেট/ বিএম শহিদ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!