বাগেরহাটের মোল্লাহাটে ছিনতাইয়ের নাটক সাজিয়ে মাছ ব্যবসায়ীর ছয় লাখ পয়ত্রিশ হাজার টাকা আত্মসাতের ঘটনায় পিকআপ চালকসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে নগদ ৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মোল্লাহাট উপজেলার বড়গাওলা এলাকার মৃত সৈয়দ বিশ্বাসের ছেলে সুজন বিশ্বাস (৩০) এবং গাওলা এলাকার রুবেল ইসলাম বরকতের ছেলে মোহাম্মাদুল্লাহ শেখ ওরফে বাঁধন (১৮)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গেল ২৮ জানুয়ারি মোল্লাহাট উপজেলার নাশুখালী বাজারের মাছ ব্যবসায়ী আশিষ কুমার মন্ডল যশোরের এমএমসি মাছের কোম্পানিতে পিকআপে করে মাছ সরবরাহ করেন। মাছ সরবরাহ শেষে ফিরে আসার সময় পিকআপ চালক সুজন বিশ্বাস পুবালী ব্যাংকের ফকিরহাট থেকে এমএমসি কোম্পানির পাঠানো ৮ লাখ ৩৫ হাজার টাকা চেকের মাধ্যমে উত্তোলন করেন। পরে ফকিরহাটের ফলতিতা বাজারে পৌঁছালে আশিষ কুমার মন্ডলের ম্যানেজার রমেনকে নগদ ২ লাখ টাকা প্রদান করেন সুজন। অবশিষ্ট ৬ লাখ ৩৫ হাজার টাকা নিয়ে পিকআপ চালিয়ে নাশুখালি বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হয় সুজন বিশ্বাস। পরে একটি অপরিচিত মোবাইল নাম্বার ০১৭৮২-১৪৪০৯০ থেকে ব্যবসায়ী আশিষ কুমার মন্ডলকে জানানো হয়, পিকআপ চালক সুজন কেন্দুয়া জোড়া ব্রীজের কাছে অসুস্থ অবস্থায় পড়ে আছে, তার নিকট থেকে টাকা ছিনতাই হয়ে গেছে। আশিষ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুজনকে উদ্ধার করেন এবং থানায় মামলা করেন। টাকা ছিনতাই এর ঘটনায় সুজনকেই সন্দেহ হয় ব্যবসায়ী আশীষ মন্ডলের।
মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আশরাফুল আলম বলেন, ব্যবসায়ী আশীষ কুমার মন্ডলের অভিযোগ পাওয়ার পর থেকেই পুলিশ খুবই গুরুত্বের সাথে তদন্ত শুরু করে। তদন্তে জানতে পারি ছিনতাইয়ের নাটক সাজিয়ে সুজন টাকাগুলো আত্মসাতের চেষ্টা করেছেন। এর অংশ হিসেবে মোহাম্মাদুল্লাহ শেখ ওরফে বাঁধন ঢাকা থেকে মোল্লাহাট এসে টাকা নিয়ে আবার ঢাকায় চলে যায়। সুজনকে গ্রেপ্তারের পরে সে পুরো বিষয়টি স্বীকার করেন, পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার মোহাম্মাদুল্লাহ শেখ ওরফে বাঁধনকে ঢাকায় তার ভাড়াবাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার ভাড়াটিয়া বাসা থেকে ৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। অবশিষ্ট টাকা উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। গ্রেপ্তার দু’জনকে আদালতে সোপর্দ করলে, আদালত তাদেরকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।
খুলনা গেজেট/এনএম