বাগেরহাটে আবারও জমিসহ ঘর পাচ্ছেন ৬৯৬ ভূমিহীন পরিবার। আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় চতুর্থধাপে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে এই ঘর প্রদান করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে জেলার ৯টি উপজেলায় ভূমিহীনদের জন্য টিনসেড পাকা ঘর তৈরি সম্পন্ন করেছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। দুই শতাংশ জমিসহ দৃষ্টিনন্দন পাকা ঘর অপেক্ষা করছে হতদরিদ্রদের জন্য । ২২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে দরিদ্র পরিবার গুলোর মাঝে এই ঘর হস্তান্তর করবেন। এরপরেই দরিদ্র পরিবারগুলোর কাছে ঘরের চাবি ও দলিল বুঝিয়ে দিবেন প্রশাসনের কর্তাব্যক্তি ও জনপ্রতিনিধিগণ।
সোমবার দুপুরে (২০মার্চ) বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রেসব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান। এসময় বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হাফিজ আল আসাদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) অরবিন্দ বিশ্বাস, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ আব্দুল জব্বার, ভূমি অধিগ্রহন কর্মকর্তা মোঃ রাশেদুজ্জামানসহ উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের ৩য় পর্যায়ের ১২৫ টি ও চতুর্থধাপে ৫৭১ টি মোট ৬৯৬ টি ঘর নির্মান সম্পন্ন করা হয়েছে। এর মধ্যে বাগেরহাট সদর উপজেলায় ৪৪, মোংলায় ২২০, মোরেলগঞ্জে ১৩৭, কচুয়ায় ১০, ফকিরহাটে ৭৫, মোল্লাহাটে ৮৩, রামপালে ২০, চিতলমারী ৩২টি এবং শরণখোলা উপজেলায় ৭৫টি ঘর রয়েছে। চতুর্থধাপে প্রতিটি সেমিপাকা ঘরের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লক্ষ ৮৪ হাজার, ৫’শ টাকা। দুই শতাংশ জমিতে নির্মান করা প্রতিটি ঘরে বাড়িতে দুটি বেড রুম, একটা কিচেন রুম, একটা ইউটিলিটি রুম, একটা টয়লেট ও একটা বারান্দা রয়েছে। বারান্দার সামনে ফাকা জায়গাও রয়েছে। দুর্যোগ সহনীয় এসব ঘর হবে টেকসই এবং প্রতিটি ঘরে থাকবে সোলার সিস্টেম আর বজ্রপাত নিরোধক ব্যবস্থা। ২২ মার্চ উপকারভোগীদের কাছে এই ঘরগুলো বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে হতদরিদ্ররা এই ঘরগুলো পাবেন। আমরা স্বচ্ছতার সাথে উপকারভোগী বাছাই করেছি। দরিদ্র পরিবারের সদস্যরা এখানে ভাল থাকবেন। ঘরপ্রাপ্তদের সবধরণের নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে আশে পাশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মান, মসজিদ-মন্দিরসহ ধর্মীয় উপাষনালয়, খেলার মাঠ, ফুল-ফলের বাগান করে দেওয়া হচ্ছে। একই সাথে সুপেয় পানির প্রাপ্ত নিশ্চিত করতে বসানো হয়েছে নলকুপ। এছাড়া উপকারভোগীদের সব ধরণের আরও নানা পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান জেলার এই শীর্ষ কর্মকর্তা।
খুলনা গেজেট/এনএম