বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে জোরপূর্বক ঘের দখল ও মাছ লুটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ মো: কামরুল ইসলাম মোরেলগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ।
মোরেলগঞ্জ উপজেলার ঘষিয়াখালী এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ মো: কামরুল ইসলাম বলেন, প্রায় ২০ বছর ধরে ১০২ নং ঘষিয়াখালী মৌজায় আমাদের নিজস্ব এবং বিভিন্ন জমির মালিকের কাছ থেকে লিজ নিয়ে ৪৫ বিঘা জমিতে মৎস্য ঘের করে আসছি। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালী ও বনদস্যু মো: মাছুদ মোল্লার নেতৃত্বে একটি পক্ষ আমাদের ঘের দখলের চেষ্টা করে আসছিল। এর ধারাবাহিকতায় ১৮ ফেব্রুয়ারি সকালে মো: মাছুদ মোল্লার নেতৃত্বে মো: লেন্টু মীর, মিন্টু মীর, মন্টু চৌকিদার, লোকমান চকিদারসহ ২০-২৫ জন সন্ত্রাসী আমাদের ঘেরে প্রবেশ করেন। তারা অস্ত্রের মুখে আমাকে এবং মামুন মোল্লাকে মারধর করে চারলক্ষ টাকার বাগদা, গলদা চিংড়ি ও সাদা মাছ লুটে নেয়। আমাদের সবাইকে ঘেরে যেতে নিষেধ করেছে। ঘেরে গেলে সবাইকে মেরে ফেলারও হুমকী দিয়েছে। যেকোন মূল্যে আমরা আমাদের মৎস্য ঘের ফিরে পেতে চাই।
মো: কামরুল ইসলামের ব্যবসায়িক অংশীদার জাহিদুল ইসলাম বলেন, মো: মাছুদ মোল্লা একজন পেশাদার অপরাধী। পাঁচ বছরের মধ্যে সে কয়েক কোটি টাকার মালিক হয়েছে। টাকার জোরে যা ইচ্ছে তাই করছে। আমাদের ঘের দখল করে নিল। এর আগে ফুলহাতা গ্রামের মান্নান হাওলাদার নামের এক ব্যক্তির চোখ তুলে ফেলেছিল। মান্নান হাওলাদার এখন অন্ধ্যাত্ব জীবন যাপন করছেন। এ সংক্রান্ত মামলাও রয়েছে। এছাড়া মাসুদ মোল্লার লোকজন ঘের নিয়ে বিরোধে ঘষিয়াখালী গ্রামের মোতালেব মৃধা নামের এক নিরহ ব্যক্তির হাত-পা ভেঙ্গে দিয়েছে। মোতালেব মৃধা এখন পঙ্গু অবস্থায় কোনমতে বেঁচে আছেন। এসব অন্যায়ের কোন বিচার হয় না। মৎস্য ঘের ফিরে পেতে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন জাহিদুল ইসলাম।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ঘষিয়াখালী এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, স্থানীয় একজন জনপ্রতিনিধির ছত্রছায়ায় থেকে মাছুদ মোল্লা ও তার লোক এসব অপরাধ করে বেড়াচ্ছে এলাকায়। যার কারণে কেউ কিছু বলতে পারে না। এখনই মাছুদ মোল্লাকে আটকাতে না পারলে এলাকায় বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠবে বলে দাবি করেন তিনি।
স্থানীয় বহরবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তালুকদার রিপন হোসেন বলেন, মৎস্য ঘের দখল করে মাছ লুটের বিষয়টি শুনেছি। এবিষয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জনান তিনি।
এবিষয়ে অভিযুক্ত মো: মাছুদ মোল্লার সাথে কথা বলার জন্য বারবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: সাইদুর রহমান বলেন, একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খুলনা গেজেট/ এসজেড