কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাগেরহাটে পদযাত্রা পালন করেছে বিএনপি। শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিএনপি নেতাকর্মীরা শহরের পুরাতন বাজার মোড় এলাকায় পদযাত্রা শুরু করে। পদযাত্রা শুরুর সাথে সাথে পুলিশ বাঁধা দেয়। পুলিশি বাঁধার এক পর্যায়ে কর্মসূচি শেষ করে বিএনপির নেতাকর্মীরা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ সালামের মুনিগঞ্জস্থ বাড়িতে অবস্থান নেয়। সেখান থেকে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ সালামসহ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ।
অন্যদিকে পুরাতন বাজার এলাকা থেকে বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহবায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিমকে আটক করে থানা পুলিশ।
আটকদের মধ্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহবায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিম, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ সালাম, কচুয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাজরা আছাদুল ইসলাম পান্না, বিএনপি নেতা শেখ শাহেদ আলী রবি, যুবদল নেতা আইয়ুব আলী মোল্লা বাবু, জয়নুল পারভেজ সুমন ও নাছিমের নাম পাওয়া গেছে।
এদিকে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাঁধার প্রতিবাদ ও আটক নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে বেলা ১১টায় বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে কেন্দ্রীয় বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ড. ওবায়দুল ইসলাম। এসময় বাগেরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম, সদস্য কামরুল ইসলাম গোড়া, ব্যারিষ্টার জাকির হোসেন, অহিদুল ইসলাম পল্টুসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
কেন্দ্রীয় বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ড. ওবায়দুল ইসলাম বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে পদযাত্রা বাঞ্চাল করতে পুলিশ গতরাত থেকেই আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়িতে তল্যাসি করে। সকালে আমাদের শঅন্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাঁধা প্রদান করে। আমাদের কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দসহ ৪০ জনের বেশি নেতাকর্মীকে পুলিশ আটক করেছে। এটা আমাদের গনতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করার শামিল। অতিদ্রুত এসব নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে। এছাড়া সারাদেশে নেতাকর্মীদের আটক ও দমন পীড়নের প্রতিবাদে ৪ মার্চ সকল মহানগরের প্রতিটি থানায় পদযাত্রার কর্মসূচি ঘোষনা করেন কেন্দ্রীয় এই নেতা।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আছাদুজ্জামান বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই দলের পক্ষ থেকে বাগেরহাটে কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। আমরা তাদেরকে কর্মসূচি পালন না করার জন্য আহবান জানিয়েছিলাম। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি বিএনপির নেতাকর্মীরা নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন। এজন্য আমরা বিএনপির কয়েকজনকে আটক করেছি। আটকের সংখ্যা ২০ থেকে ২৫ জনের মত হবে। আমরা যাচাই বাছাই করছি, পরে আরও জানানো হবে।
খুলনা গেজেট/ বি এম এস