বাগেরহাট জেলায় সংক্রমণের হার ৫০ থেকে ৭৩ শতাংশের ওঠানামা করছে। শনিবার সকাল পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৮৮২ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মারা গেছে ৭৭ জন। করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে দুই শতাধিক মানুষ।
বাগেরহাটের জেলা ও উপজেলায় সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে নেই কোন ভেন্টিলেটর ও আইসিইউ বেড। উপায় না থাকায় বাগেরহাটের অধিকাংশ করোনা আক্রান্তরা চিকিৎসা নিচ্ছেন বাড়ীতে। করোনা আক্রান্তদের অক্সিজেন লেভেল ৯০ এর নিচে নেমে গেলে জরুরি প্রয়োজন হচ্ছে অক্সিজেনের। এই অবস্থায় করোনা আক্রান্তদের পাশে দাড়িয়েছে বাগেরহাট রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট। গত সোমবার (২০ জুন) থেকে যেসব করোনা আক্রান্ত রোগীদের অক্সিজেনের প্রয়োজন হচ্ছে ফোন পেয়েই বিনামূল্যে যুব রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা অক্সিজেন ভর্তি সিলিন্ডার নিয়ে পৌঁছে যাচ্ছেন তাদের বাড়িতে। করোনা আক্রান্তদের মুখে সেট করে দিচ্ছেন অক্সিজেন।
বাগেরহাট রেডক্রিসেন্ট ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার নাজমুল কবির ঝিলাম জানান, আমরা ৫টি অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়ে করোনা আক্রান্তদের বাড়িতে অক্সিজেন ভর্তি সিলিন্ডার পৌঁছে দিচ্ছি। বিনামূল্যে বাগেরহাট রেডক্রিসেন্ট ইউনিট করোনা আক্রান্ত রোগীদের সেবা দিচ্ছে। অক্সিজেন ফুরিয়ে গেলে দ্রুত খুলনা থেকে সিলিন্ডার ভর্তি করে আনা হচ্ছে। রাত ২টার সময় ফোন পেয়ে বাগেরহাট জেলা সদর থেকে মোরেলগঞ্জ উপজেলার বারুইখালী ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান লালের বাড়ীতে গিয়ে তার করোনা আক্রান্ত স্ত্রী খালেদা ইয়াসমিনকে অক্সিজেন দেয়া হয়েছে। প্রতিদিনই দু‘চারজন করে করোনা আক্রান্তদের অক্সিজেন ভর্তি সিলিডার সরবরাহ হচ্ছে।
পাশাপাশি বাগেরহাট করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করোনা আক্রান্তদের দেখভাল করা স্বজন যাতে অন্যদের করোনা সংক্রমিত না করতে পারে তার জন্য বাগেরহাট রেডক্রিসেন্ট ইউনিটের পক্ষ হতে রাতের খাবার দেয়া হচ্ছে। আক্রান্তদের দেখভাল করা স্বজনসহ খাদ্য সংকটে থাকা তিন শতাধিক মানুষদের দেয়া হচ্ছে এ খাবার। লোকজনকে করোনা স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে গণসংযোগ, প্রচার-প্রচারণার পাশাপশি মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করা হচ্ছে বলেও জানান বাগেরহাট রেডক্রিসেন্ট ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক।
খুলনা গেজেট/এনএম