বাগেরহাটে চায়ের দোকানের পেছনে থাকা ক্যারামবোর্ডের উপর পাওয়া সেই নবজাতককে এক প্রকৌশলী ও চিকিৎসক দম্পতিকে দত্তক দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২১ জুন) বিকেল পাঁচটায় খুলনা চোটমনি নিবাস থেকে এই দম্পত্তি নবজাতকটিকে গ্রহন করেন। এসময়, সমাজ সেবা অধিদপ্তর খুলনার উপ-পরিচালক খান মোতাহার হোসেন, বাগেরহাটের উপ-পরিচালক এসএম রফিকুল ইসলাম, প্রবেশন অফিসার মোঃ সোহেল পারভেজ, ছোটমনি নিবাসের উপ তত্ত্বাবধায়ক আফরোজা সুলতানা ও ওই দম্পতির বাবা-মা উপস্থিত ছিলেন। শিশুটিকে পেয়ে খুশি ওই দম্পতি।
সমাজসেবা অধিদপ্তর, বাগেরহাটের উপপরিচালক এস.এম রফিকুল ইসলাম বলেন, বাগেরহাট জেলা শিশু কল্যান বোর্ডের করা বেশকিছু আবেদন যাচাই-বাছাই শেষে সকলের সম্মতিতে ঢাকা শহরের বাসিন্দা এক দম্পতিকে শিশুটিকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষে বিকেলে ওই শিশুটিকে দম্পতির কোলে তুলে দিয়েছি। আশাকরি এদের কাছে শিশুটি ভাল থাকবে।
তিনি আরও বলেন, শিশুটি সামাজিক নিরাপত্তা ও ভবিষ্যত বিবেচনা করে আমরা ওই দম্পতির পরিচয় প্রকাশ করছি না। নিয়ম অনুযায়ী তাদের পূর্ণাঙ্গ পরিচয় এবং প্রয়োজনীয় তথ্য আমাদের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।
সোমবার (৭ জুন) ভোর ৪টায় বাগেরহাট সদর উপজেলার চিতলী-বৈটপুর গ্রামের সাইদুলের চায়ের দোকান থেকে এই মেয়ে নবজাতককে উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করে বাগেরহাট মডেল থানা পুলিশ। পরবর্তীতে বুধবার (০৯ জুন) বিকেলে বাগেরহাট সদর হাসপাতালের একটি এ্যাম্বুলেন্সে করে ওই নবজাতককে খুলনা ছোটমনি নিবাসে পাঠানো হয়।
এর আগে ২০২০ সালের ৩০ অক্টোবর মোরেলগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম সরালিয়া গ্রামের আব্দুল হাকিম হাওলাদারের বাগান থেকে একটি ছেলে নবজাতককে উদ্ধার করেন শাহ আলম হাওলাদার নামের এক ব্যক্তি। পরবর্তীতে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এক শিক্ষক দম্পতি শিশুটিকে দত্তক নিয়েছেন।
খুলনা গেজেট/ এস আই