খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  গুমের দায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২২ সদস্য চাকরিচ্যুত, গুম কমিশনের সুপারিশে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে
  আইপিএল ইতিহাসে সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার ঋষভ পন্ত

বাগেরহাটের কচুয়ায় মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করায় হামলা, আহত ৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগেরহাট

বাগেরহাটের কচুয়ায় মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করায় দুই ইউপি সদস্যের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় দুই ইউপি সদস্যসহ অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) রাত সাড়ে আটটার দিকে কচুয়া উপজেলার লড়ারকুল বাজার সংলগ্ন মাধবকাঠি এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় ৩টি মোটর সাইকেল ও একটি দোকান ভাংচুর এবং নগদ অর্থ লুট করে হামলাকারীরা। আহতদের উদ্ধার করে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেছে স্থানীয়রা।

আহতরা হলেন, কচুয়া উপজেলার মাধবকাঠি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও ৪ নং ( মাদবকাঠি) ওয়ার্ডের সদস্য জাকির হাজরা (৩৫), ৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য ও থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি মামুনুর রশীদ (৩২), স্থানীয় হেদায়েত হাজরা (৪২), এবাদুল হাওলাদার (২৮), ব্যবসায়ী সেলিম হাজরা (৪৫), রাজিব (১৭), জাহাঙ্গীর হাজরা (২৭), ও আতিয়ার রহমান (৩৭)।

আহত ইউপি সদস্য জাকির হাজরা বলেন, মাধবকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মকবুল হোসেনের ছেলে শাহিন, শ্রমিকলীগ নেতা মাসুদ হাওলাদার ও সাইদুল মাঝির নেতৃত্বে এলাকায় একটি মাদক সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরে আমি তাদের মাদক কারবারের প্রতিবাদ করে আসছি। যার কারণে বিভিন্ন সময় তারা আমাকে হুমকী-ধামকি দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে কচুয়া উপজেলা সদর থেকে ফুটবল খেলা দেখে ফেরার পথে মাধবকাঠি এলাকায় পৌঁছালে পূর্বে থেকে ওত পেতে থাকা শাহিন, মাসুদ হাওলাদার ও সাইদুল মাঝির নেতৃত্বে অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ জন আমাদের উপর হামলা করে। তারা আমাদেরকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুত্বর জখম করে। সেলিমের দোকান থেকে নগদ এক লক্ষ ১৫ হাজার, এবং আরও তিনজনের কাছ থেকে নগদ দুই লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেয় তারা। আমি ক্ষতিগ্রস্থদের টাকা ফেরত ও হামলার সুষ্ঠ বিচার চাই।

আহত অন্য ইউপি সদস্য মামুনুর রশীদ বলেন, জাকিরকে বাঁচাতে গেলে হামলাকারীরা আমাকে মারধর করে। চেয়ারম্যান মকবুল হোসেনের ছত্রছায়ায় তারা এই এলাকায় যা ইচ্ছে তাই করে বেড়াচ্ছে।

মাধবকাঠি এলাকার ব্যবসায়ী সেলিম হাজরা বলেন, ডাক চিৎকার শুনে দোকান থেকে বের হয়ে ঘটনাস্থলে যাই। শাহিন ও তার লোকজন আমাকে মারধর শুরু করে। পরে আমার দোকান ভাংচুর করে এবং দোকানে থাকা এক লক্ষ ১৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।

বাগেরহাট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল বলেন, হামলার ঘটনা শুনে আমার কমিটির সদস্য সচিব সরদার আব্দুল কাদেরকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছি। আমরা এই হামলার নিন্দা জানাই। হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করেন তিনি।

মাধবকাঠি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আব্দুল হাই বলেন, যারা হামলা করেছে তারা শ্রমিকলীগ করেন। এ ধরণের হামলা দলীয় শৃঙ্খলা নষ্ট হবে। এই ঘটনার তদন্ত পূর্বক সুষ্ঠ বিচার দাবি করেন এই নেতা।

মাধবকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন বলেন, আমার ছেলে হামলার সময় ঘটনা স্থলে ছিল না। এছাড়া আমার ছেলে কোন মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত নয়। দলীয় বিভিন্ন কথা কাটাকাটির জেরে শ্রমিকলীগ নেতা মাসুদ, সাইদুল ও জাকির মেম্বরদের মধ্যে ঝামেলার সৃষ্টি হয়েছে। এসব বিষয়ের সাথে আমার ও আমার ছেলের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই।

কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

খুলনা গেজেট / আ হ আ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!