সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে বাগদা চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশের অপরাধে চার ব্যবসায়ীকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে কালীগঞ্জ উপজেলার বাঁশতলা বাজারের মাছের সেটে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় লিখিত মুচলেকা দিয়ে মুক্তি পেয়েছে পুশের কাজে নিয়োজিত ৮ নারী শ্রমিক। আগুনে পুড়িয়ে ও গাড়ির চাকায় পিষ্ট করে মাটিতে পুঁতে দেয়া হয় পুশকৃত প্রায় ৭শ’ কেজি বাগদা চিংড়ি।
সাজাপ্রাপ্ত ব্যবসায়ীরা হলেন, সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের আবুল কালাম ঢালীর ছেলে আলমগীর ঢালী (২৬), বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের নীলকণ্ঠপুর গ্রামের হামিদ গাজীর ছেলে সাকিল হোসেন (২১), একই গ্রামের আসাদুল গাজীর ছেলে ফরিদ হোসেন (২৭) এবং আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের মহিসকুড় গ্রামের ইসলাম বিশ্বাসের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৮)। সাজাপ্রাপ্তদের শুক্রবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
কালিগঞ্জ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা নাজমুল হুদা জানান, শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে র্যাব-৬ এর সহকারী পুলিশ সুপার নাজমুল হকের নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল উপজেলার বাঁশতলা বাজার মাছের সেট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এসময় বাগদা চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশের অপরাধে চার ব্যবসায়ী ও ৮ নারী শ্রমিককে আটক করে র্যাব সদস্যরা । ঘটনাস্থল থেকে জব্দ করা হয় পুশকৃত প্রায় ৭শ’ কেজি বাগদা চিংড়ি, পুশ করার কাজে ব্যবহৃত সিরিঞ্জ ও পানি মিশ্রিত ময়দা।
এদিকে খবর পেয়ে কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রহিমা সুলতানা বুশরা ঘটনাস্থলে যান। পরে বিকেল ৪ টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মৎস্য ও মৎস্যপণ্য (পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০২০ এর ৩১ (১) ও ৩১ (২) ধারা অনুযায়ী স্বাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আটক ৪ মাছ ব্যবসায়ীর প্রত্যেককে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। এ সময় চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশের কাজে নিয়োজিত ৮ নারী শ্রমিককে মুচলেকা নিয়ে মুক্তি দেয়া হয়।
পুশকৃত ৭শ’ কেজি বাগদা চিংড়িতে কেরোসিন ও পেট্রোল ঢেলে আগুনে এবং গাড়ির চাকায় পিষ্ট করে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছে বলে জানান ওই মৎস্য কর্মকর্তা।
খুলনা গেজেট/কেডি