মোটরসাইকেলের জন্য বাকিতে এক হাজার টাকার পেট্রল চেয়েছিলেন খুলনা সিআইডির সাবেক উপপরিদর্শক (এসআই) মধুসুদন বর্মন। কিন্তু পাম্প কর্তৃপক্ষ দিতে রাজি না হওয়ায় কর্মচারীদের কাছ থেকে পাম্পের নজেল কেড়ে নিয়ে পাম্প চত্বরে পেট্রল ছিটান তিনি। এ সময় মধুসুদন ওই পাম্প আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়ারও হুমকি দেন।
ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার রাত পৌনে একটার দিকে খুলনার গল্লামারীতে অবস্থিত মেট্রো ফিলিং স্টেশনে। ওই পাম্পের বিভিন্ন সিসিটিভির ফুটেজে ঘটনাটি ধরা পড়েছে। তেল ছিটিয়ে হুমকি দেওয়ার পর সেখান থেকে সটকে পড়েন মধুসুদন। ওই ঘটনায় পাম্পের মালিক শেখ মাসুদ হোসেন লবণচরা থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও মামলা এজাহারে জানাগেছে, সিআইডি পুলিশের পরিচয় দিয়ে শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে একটার দিকে একটি মটর সাইকেল মধুসূদন বর্মণসহ দুইজন মেট্রোফিলিং স্টেশনে আসেন। মধুসূধন নিজের পরিচয় দিয়ে পাম্প কর্মচারীদের কাছে এক হাজার টাকার পেট্রোল বাকীতে ভরে দিতে বলেন। কিন্তু এতে কর্মচারীরা রাজি না হওয়ায় তাদের মারধর করে জোর ধরে মোটরসাইকেলে তেল নিয়ে আশপাশে ফেলে দেয়। মধুসূধন বর্মণ এক পর্যায়ে আগুন নিয়ে পাম্প জা¦লিয়ে হুমকি দেন। পাম্প কর্মচারীরা ঘটনাটি দ্রুত স্থানীয় হরিণটানা পুলিশকে জানালে মধুসূধনসহ তাঁর লোকজন সটকে পড়েন। গত ১০ ডিসেম্বর পেট্রলপাম্পের মালিক অ্যাডভোকেট শেখ মাসুদ হোসেন রণি পুলিশ কমিশনার বরাবর সিসি ক্যামেরার ফুটেজসহ একটি অভিযোগ দাখিল করেন। পুলিশের তদন্ত শেষে সোমবার রাতে পেট্রোল পাম্প ম্যানেজার নূর ইসলাম বাদী হয়ে লবণচরা থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
সিআইডি খুলনার বিশেষ পুলিশ সুপার (বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি) শম্পা ইয়াসমিন বলেন, মধুসুদন বর্মন একসময় খুলনা সিআইডিতে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু উচ্ছৃঙ্খল আচরণের জন্য ২০২০ সালে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়। এখন তিনি বাংলাদেশ পুলিশের কোনো সদস্য নন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন লবণচরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, পেট্রোল পাম্পের ঘটনায় থানায় মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।
খুলনা গেজেট/কেডি