১.
বাংলা ভাষার সুখ খুঁজি আমি স্বাধীন মনে, প্রগাঢ় বন্ধনে
কথন-বচন, লিখন প্রানোচ্ছল আবহে মধুর ছন্দ
শব্দ-ব্যঞ্জনায়।
আধুনিক বাংলা শব্দে; ভালোবাসা, দেশপ্রেম কবিতার
ভাবনা রূপক উপমায়, অনেক ঐশ্বর্য, পদাবলী প্রাচীনচর্যায়,
তাপিত প্রাণ জুড়ায়।
প্রাচীন পুঁথি লালন গীতি মরমী সুরধারায়, বাংলা অভিধান,
সাহিত্য সমৃদ্ধ নব জাগরণ আধুনিকতায়।
কথ্য ভাষায় বাংলার লোকগাঁথা প্রেমের আলেখ্য
দেওয়ানামদিনা, মহুয়া মলুয়া গীতিকথা বন্দনা
রোমান্টিক চেতনায় ময়মনসিংহ গীতিকা।
২.
মহাকাব্য, সনেট, অমিত্রাক্ষর ছন্দ; বাংলা ভাষার গৌরব
সাহিত্য-ভাণ্ডারে – যুগে যুগে অত্যুজ্জ্বল সৌরভ।
সাগরে প্রবাল ভাসে এই জোয়ার ভাটায়, জীবনের
গতি, ঝর্ণার-স্রোতধারায় মনের আকাঙ্ক্ষা
লেখনী কখনো থেমে না যায়, মায়ের ভাষায়।
ঝাউবন আড়ালে প্রকৃতি শোভায় বসন্ত হাসে –
পদ্মাচর সাদা কাঁশবনে ফুলেল শুভেচ্ছায় ।
গোধূলি-সন্ধ্যায় সাগরে সূর্যাস্ত কিরণ
লালচে আভায় অজস্র ভালবাসা রয় বাংলার সবুজ শ্যামলিমায় ।
কত সৌন্দর্যে, নুড়ি,পাথর, ঝিনুকের
স্তুপ জমে, বঙ্গোপ সৈকতে আদ্র বালুকায়।
৩.
উপকূলে, ঐ আকাশের মেঘমালা, উড়ে যায়,
হিমালয় বরফ চূড়ায় ।
নানান জাতির আদি-ভাষা যেনো পৃথিবী
থেকে হারিয়ে না যায়, একান্ত বাসনা,
হৃদয়ের অর্ঘ্য পুষ্প ছড়িয়ে জনম ভরে
প্রমিত ভাষা বাংলা, শব্দের ঝংকারে
-উচ্চারণ-প্রাচুর্য্যে । কতো আখ্যান লুকিয়ে রয়
বিরিশিরি, কংশ নদীর বাঁকে, নয়ন শুধু ছবি আঁকে।
অনেক উচ্ছাস-প্রাণাবেগ, ছড়িয়েছে ফাগুনের
রজনী প্রহরে । ভাষা শহীদের গভীর শ্রদ্ধা
বিনম্র ভালোবাসা উজাড় এই আটই ফাল্গুনেরই
উষা প্রহরে।
খুলনা গেজেট/ টি আই