জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, কোন সংস্থা অন্যায় করলে তাদের উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। তাদেরকে যথা নিয়মে সেটা নিষ্পন্ন করার চেষ্টা করতে হবে। আর না হলে মানবাধিকার কমিশন অবশ্যই ব্যবস্থা নিবে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নে গঠিত ‘জেলা মানবাধিকার কমিটি’ এর সদস্যদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন একটা বেআইনী সংস্থা। এই নামে যদি কেউ পরিচয় দেয় তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কারণ বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন নামে কোন কমিশন বাংলাদেশে নাই।
কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, এক সময় একটা ছিলো, তারা অনেক অন্যায় করেছে, অনেকভাবে চাঁদাবাজি করেছে, মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। তারা কমিশন বলে পরিচয় দিতো কিন্তু তারা কোন কমিশন নয়। কোন বেসরকারি সংস্থা কোন দিন কমিশন হতে পারে না।
চেয়ারম্যান আরো জানান, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন টোটালী ব্যান্ড একটি প্রতিষ্ঠান। এটা অবৈধ। এরা কেউ কশিশন বা কাউন্সিল লিখতে পারবে না। এ ব্যাপারে কোর্টের রায় রয়েছে। প্রত্যেক জেলা প্রশাসকের কাছে এই রায়ের কপি পাঠানো অাছে, যাতে কোন এনজিও যদি এই পরিচয় দেয় তাহলে তাদের ধরার জন্য।
জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় মানবাধিকার কমিশনের সচিব নারায়ন চন্দ্র সরকার, সার্বক্ষণিক সদস্য মো. সেলিম রেজা, সদস্য ড. তানিয়া হক, পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সভায় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনের উদ্ধর্তন কর্মকর্তা, বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষ, সরকারি কর্মকর্তা ও মানবাধিকার জেলা কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। জেলা প্রশাসন ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। এর আগে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধ বেদীতে পুষ্পস্তবক অপর্ণ, ফাতেহাপাঠ ও বিশেষ মোনাজাত করে বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবারের নিহত সদস্যদের মাগফেরাত কামনা করেন তিনি।
খুলনা গেজেট/ টি আই