বাণিজ্য, জ্বালানি, কৃষিসহ সাত খাতে সহযোগিতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও ভারত সাতটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে। আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সমঝোতা স্মারকগুলো সই হয়। কিছুক্ষণ পর অনুষ্ঠেয় হাসিনা-মোদি ভার্চ্যুয়াল শীর্ষ সম্মেলনের অংশ হিসেবে সমঝোতা স্মারকগুলো সই হয়েছে।
সই হওয়া সমঝোতা স্মারকগুলো হচ্ছে হাইড্রোকার্বনে সহযোগিতার বিষয়ে রূপরেখা, কৃষি খাতে সহযোগিতা, নয়াদিল্লি জাদুঘরের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের সহযোগিতা, হাতির সুরক্ষায় অভয়ারণ্য নিশ্চিত করা, হাই ইমপ্যাক্ট কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প চালু, বাংলাদেশ-ভারত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফোরামের ট্রাম্প অব রেফারেন্স এবং বরিশালে সুয়ারেজ প্রকল্পের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে যন্ত্রপাতি কেনাকাটায় ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক।
বাংলাদেশের পক্ষে সংশ্লিষ্ট সাত মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানের সচিব বা শীর্ষ কর্মকর্তা আর ভারতের পক্ষে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী সই করেন। এমওইউ সই অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী খালিদ হোসেন ও পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে শীর্ষ বৈঠক হতে যাচ্ছে আজ। তবে এই বৈঠক সামনাসামনি হচ্ছে না। বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ অব্যাহত থাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে আলোচনাটি হবে ভার্চ্যুয়ালি।
ঢাকা ও দিল্লির কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, দুই সরকারপ্রধানের বৈঠকে করোনা-পরবর্তী সহযোগিতার বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাবে। এ ছাড়া বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়ানো, সীমান্ত হত্যা বন্ধ, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনসহ দুই নিকট-প্রতিবেশীর সম্পর্কের নানা দিক আলোচনায় আসবে।
বৈঠকের আলোচ্যসূচির বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমাদের যতগুলো বড় ইস্যু আছে, সব ইস্যুই আমরা বৈঠকে তুলব। পানি সমস্যা, সীমান্তে অনিশ্চয়তাসহ সব কটি ইস্যুই তুলে ধরব।’ এই শীর্ষ বৈঠক নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত সোমবার রাতে একটি বিবৃতি দিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, দুই শীর্ষ নেতা করোনা-পরবর্তী সময়ে সহযোগিতা আরও জোরদার করাসহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সব বিষয়ে বিস্তৃত আলোচনা করবেন। করোনা মহামারিতে দুই নেতা নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করেছেন বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
খুলনা গেজেট/এনএম