বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দেশ দুটির মধ্যে শক্তি ও প্রযুক্তিসহ পারস্পরিক সুবিধার বহুপাক্ষিক খাতে সহযোগিতার একটি নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে।
ডেনমার্কের ক্রাউন প্রিন্সেস মেরি এলিজাবেথ ডোনাল্ডসন এবং ডেনমার্কের উন্নয়ন ও সহযোগিতা মন্ত্রী ফ্লেমিং মোলার মর্টেনসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ পর্যবেক্ষণ উঠে আসে।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
ড্যানিশ মন্ত্রী বলেন, আগামী দিনে জ্বালানি ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন খাতে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও জোরদার হবে।
বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকট, জলবায়ু পরিবর্তন, নারীর ক্ষমতায়নের মতো বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
ডেনমার্কের ক্রাউন প্রিন্সেস প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন যে, তারা কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন। ডেনমার্কের মন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়নের প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশকে উন্নয়নকে ‘ডেভেলপমেন্ট মিরাকল’ বলে আখ্যায়িত করেন।
‘৩৯ বছর আগে আমি বাংলাদেশ সফর করেছি। উন্নয়নের ক্ষেত্রে দেশে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে,’ ড্যানিশ মন্ত্রীকে উদ্ধৃত করেন করেন করিম। এ প্রসঙ্গে ডেনমার্কের মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মহলে উচ্চ সম্মান অর্জন করেছে। ফ্লেমিং মোলার মরটেনসেন উল্লেখ করেন যে ডেনমার্কের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা এখন বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ডেনমার্ককে বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে বর্ণনা করেন। বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিপূর্ণ দেশ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সরকার একটি জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেছে এবং কিছু বিশেষ কর্মসূচির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা করতে হবে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার রোহিঙ্গাদের সেখানে স্থানান্তরের পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ভাসানচরকে বসবাসের উপযোগী হিসেবে গড়ে তুলেছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এবং বাংলাদেশে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি ইস্ট্রুপ পিটারসেন এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
ডেনমার্কের ক্রাউন প্রিন্সেস মেরি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং সুন্দরবন এলাকার জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী পরিদর্শনে তিন দিনের সফরে সোমবার সকালে বাংলাদেশে এসেছেন।
সূত্র : বাসস
খুলনা গেজেট/ টি আই