আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো পরামর্শকে সরকার স্বাগত জানাবে, তবে সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশ। সোমবার (৩ জুলাই) বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, ’যুক্তরাষ্ট্র থেকে যে উচ্চপদস্থ কূটনীতিকরা বাংলাদেশে আসছেন, তাদের সঙ্গে সংলাপে বাংলাদেশ সম্পর্কে ভুল ধারণা দূর হবে।’
এদিকে বাংলাদেশ চীনের দিকে ঝুঁকছে এমন দাবি সঠিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আমরা ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন করতে চাই। আমরা আমাদের কথাগুলো বলব। তারা যদি অন্য কোনোভাবে সাহায্য করতে পারে, তবে আমরা তাদের ওয়েলকাম জানাই। কোনো ব্রাইট আইডিয়া এলে আমরা এটা অ্যাপ্রুভ (গ্রহণ) করব। এখানে গোপনীয়তার কিছু নেই।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যারা আসছেন তাদের আমরা ওয়েলকাম জানাই। তার মানে আমাদের ইজ্জত বেড়েছে। আমাদের প্রতি নজরও বেড়েছে। কারণ আমরা স্ট্র্যাটেজিক্যালি খুব ভালো অবস্থানে আছি।’
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ’যুক্তরাষ্ট্র যদি মনে করে বাংলাদেশ চীনের দিকে ঝুঁকছে, তবে সেটা ভুল ধারণা। বাংলাদেশ চীনের দিকে ধাবিত হচ্ছে এটা শুনে অনেকেরই জ্বর উঠেছে। তারা খুব ভয় পাচ্ছে, বাংলাদেশ অন্য দিকে যায় কি না! এজন্য তারা সবাই আমাদের সঙ্গে আলাপ করছে। আমরা সবাইকে ওয়েলকাম করি। আমরা কারও লেজুড় না।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ’যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশ সম্পর্কে ভুল ধারণা দেওয়া হয়েছিল। সেই প্রচেষ্টা এখনও চলছে। নির্বাচন ঘিরে মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে সরকার চিন্তিত নয়। যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার-বিষয়ক একজন আন্ডার সেক্রেটারির নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলটির আগামী সপ্তাহে ঢাকা সফরের কথা রয়েছে।‘
প্রতিনিধিদলে যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারসংক্রান্ত আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া, অর্থনীতিবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জোসে ডব্লিউ ফার্নান্দেজ এবং দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু রয়েছেন। সফরকারীরা রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, নীতিনির্ধারক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে।
খুলনা গেজেট/কেডি