বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস (বিআরআইসিএম) করোনাভাইরাস ধ্বংসে ‘নাজাল স্প্রে’ উদ্ভাবনের দাবি করেছে। বিশ্বে এটাই প্রথম এ ধরনের স্প্রে বলে দাবি তাদের। এর নাম রাখা হয়েছে ‘বঙ্গসেফ ওরো-নাজাল স্প্রে’।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নতুন এই স্প্রের কথা জানায় বিআরআইসিএম। তারা বলছে, তারা সীমিত পরিসরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২০০ জন করোনা রোগীর মধ্যে এই স্প্রের ‘ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল’ চালিয়েছে। তাতে কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছে। এখন আরো বড় পরিসরে ট্রায়াল চালানো হবে।
সংসদ সচিবালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে এই স্প্রে উদ্ভাবনের জন্য বিআরআইসিএমকে ধন্যবাদ জানানো হয়। একই সঙ্গে স্প্রেটি সম্পর্কে প্রচার বাড়ানো এবং ব্যবহারের ক্ষেত্রে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিটি সুপারিশ করে।
বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য হাবিবে মিল্লাত গণমাধ্যমকে বলেন, কমিটি আরো বিস্তৃত পরিসরে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানো এবং বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে অনুমোদন নিতে বলেছে।
বিআরআইসিএমের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মালা খান বলেন, সীমিত পরিসরে তারা ২০০ ব্যক্তির ওপর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালিয়েছেন। তাতে ৮০ শতাংশের বেশি কার্যকারিতা পাওয়া গেছে। আরো মানুষের ওপর পরীক্ষা করার জন্য এখন তারা বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলে আবেদন করবেন। এই স্প্রের পেটেন্টের জন্য ইতিমধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে।
কমিটির সভাপতি আ ফ ম রুহুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য ইকবালুর রহিম, হাবিবে মিল্লাত, শফিকুল আজম খান, নিজাম উদ্দিন হাজারী, মোজাফফর হোসেন, শিরীন আহমেদ ও সেলিমা আহমাদ অংশ নেন।
খুলনা গেজেট/এ হোসেন