স্পেশাল অলিম্পিকে বাংলাদেশ অসংখ্য পদক আনে প্রতি আসরেই। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিরা দেশের ভাবমূর্তি বৃদ্ধি করেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন (বুদ্ধি/মানসিক প্রতিবন্ধী) ব্যক্তিদের নিয়ে যাত্রার অগ্রপথিক ছিলেন আশরাফ দাওলা। সেই আশরাফ বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।
বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্ষীয়ান ক্রীড়া সংগঠক ফারুকুল ইসলাম গত এক দশকেরও বেশি সময় স্পেশাল অলিম্পিকের জাতীয় পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে স্মরণ করলেন এভাবে, ‘বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে তার অবদান অনেক। স্পেশাল অলিম্পিক তার হাত ধরেই বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত। তিনি দীর্ঘদিন এই সংগঠন পরিচালনা করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্পেশাল অলিম্পিকের আজকের অবস্থানের পেছনে তার অবদানই সর্বাধিক। বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের সঙ্গেও তার সম্পৃক্ততা ছিল। সর্বোপরি তিনি অত্যন্ত জ্ঞানী লোক ছিলেন। ক্রীড়াঙ্গনে অবদানের জন্য ১৯৯৬ সালে তিনি জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পান।’
বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের নিয়ে ক্রীড়াঙ্গনে বাংলাদেশে সেভাবে কাজ হতো না। আশরাফ দাওলার নিজের সন্তান বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ছিল। নিজের সন্তানদের দেখেই সামগ্রিক উদ্যোগ নেন তিনি। দীর্ঘদিন বাংলাদেশে বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের নিয়ে কাজ করার পর গত বছর আশরাফ সপরিবারে প্রবাস জীবনযাপন বেছে নেন। ৯০ বছর বয়সে আজ প্রবাসেই ইন্তেকাল করেন। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ স্পেশাল অলিম্পিক।
খুলনা গেজেট/এএজে