বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক ও ত্রাণ কমিটির সদস্য সচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেছেন, ‘আগে ছিল একদলের শাষন, এখন দেশে চলছে এক ব্যক্তির ফ্যাসিবাদি ও কর্তৃত্ববাদী শাষন। বাংলাদেশকে লুটেরা ও মাফিয়া বাহিনা দখল করে রেখেছে। এ কারণে বিচার বিভাগ, আইনের শাষন ও জনগনের ভোটের অধিকার নাই, বাংলাদেশের ব্যাংকে টাকা নাই, সব টাকা লুট হয়ে গেছে। এজন্য দেশের মানুষ অভাব অনটনে আছেন। এতে একটি পরিবার একজন ব্যক্তি লাভবান হচ্ছে ‘।
বুধবার দুপুরে বাগেরহাটের মোংলার দিগরাজ বাজার এলাকায় রিমালে ক্ষতিগ্রস্থ দরিদ্রদের মাঝে বিএনপির পক্ষ থেকে নগদ টাকা বিতরণ অণুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সাবেক এই ছাত্র নেতা আরও বলেন, দেশের পরিবেশ ও জলবায়ু ঠিক রাখতে সুন্দরবন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ঝড়-জলচ্ছাসে মায়ের মত আটকে রাখে এই বন। কিন্তু এই বন ধ্বংস করতে পরিকল্পিতভাবে রামপালে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হয়েছে। হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রায়ই থাকে বন্ধ। এ দিয়ে কোন উপকার না হলেও, ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশের। আসলে সবই লুট পাটের উদ্দেশ্যে মানুষের জন্য কিছু না। গনমানুষের দল বিএনপি এই লুটেরাদের নামিয়ে ছাড়বে, যতদিন সরকারের পতন না হয়, ততদিন আমাদের আন্দোলন চলবে।
নগদ অর্থ বিতরণ অনুষ্ঠানে বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারি হেলাল, ভারপ্রাপ্ত সাংগঠিনক সম্পাদক অনিন্দ্র ইসলাম অমিত, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ওবায়দুল ইসলাম, সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান, জেলা বিএনপির আহবায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিম, সাবেক জেলা সভাপতি ও প্রধান সমন্বয়ক এম এ সালাম, যুগ্ন আহবায়ক ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম, মোংলা পোর্ট পৌরসভার সাবেক মেয়র জুলফিকর আলী, রামপাল উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান তুহিন, বাগেরহাট পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ওবায়দুল ইসলাম জুয়েল, জেলা যুবদলের প্রধান সমন্বয়ক আইয়ুব আলী মোল্লা বাবু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম শান্ত, জেলা মহিলা দলের সভাপতি শাহিদা আক্তার, মহিলা দল নেত্রী এ্যাড. নীপা তালুকদারসহ উপজেলা-জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পরে রামপাল উপজেলার বগুরা ব্রিজ এলাকায় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়। এদিন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় রামপাল ও মোংলায় ২ শতাধিক ক্ষতিগ্রস্থ মানুষকে নগদ ৩ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়।
খুলনা গেজেট/কেডি