বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুর্দান্ত খেলেও হেরে গেছে ওমান। অসাধারণ বল করে বাংলাদেশকে অলআউট করতে সক্ষম হয় বিলাল খান ও ফয়েজ বাটরা। ১৫৩ রানেই থেমে যায় বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমেও অসাধারণ খেলতে থাকে ওমানের ব্যাটাররা। যতীন্ত্র সিংয়ের ব্যাটে ভর করে এগিয়ে যেতে থাকে জয়ের পথে।
শেষ দিকে সাকিব-মোস্তাফিজের বোলিং নৈপুণ্যে ম্যাচ জিতে যায় বাংলাদেশ। টাইগারদের বিপক্ষে ২৬ রানে হেরে যায় বিশ্বকাপের স্বাগতিকরা । নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে এমন দুর্দান্ত খেলেও হেরে যাওয়ায় অনেকটাই হতাশ ওমান দলের অধিনায়ক জিশান মাকসুদ। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সেই হতাশাই ঝরল তার মুখে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ছোড়া লক্ষ্য পার করা আমাদের জন্য অসম্ভবের কিছু ছিল না। শুরুতে ও মাঝে যেভাবে ব্যাট করেছি আমরা তাতে লক্ষ্যে পৌঁছানো যেত। কিন্তু শেষ ৫-৬ ওভারে আমরা সঠিক পথে ছিলাম না। ওই সময়টায় বেশ কয়েকটি উইকেট হারিয়েছি আমরা। আর এর সমস্ত কৃতিত্ব বাংলাদেশের বোলারদের। বলতে গেলে ১৫-১৬ ওভার পর্যন্ত চালকের আসনে আমরাই ছিলাম। ৩৬ বলে ৫০ রানের দরকার ছিল আমাদের। আর এটা পূরণ করা কঠিন কোনো বিষয় ছিল না।’
বাংলাদেশের বড় অবদান রয়েছে সাকিব ও মুস্তাফিজের। ম্যাচ শেষে এই দুই ক্রিকেটারের প্রশংসা করেছেন ওমান অধিনায়ক। বলেন, কৃতিত্ব অবশ্যই বোলারদের (ওমানের ব্যাটিং বিপর্যয়) দিতে হবে। সাকিব তিন উইকেট পেয়েছে, মুস্তাফিজ খুবই ভালো বোলিং করেছে। তারা টেস্ট খেলুড়ে দল। তাঁদের দলে প্রচুর ভালো ক্রিকেটার রয়েছে। আমার মনে হয় আমরাও ভালো ফাইট দিতে পেরেছি। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের কথা চিন্তা করলে আমি খুশি।
নিজ দেশের সমর্থকদের উদ্দেশে জিশান মাকসুদ বলেন, ‘হোম ম্যাচে সমর্থকদের সামনে খেলা কোনো চাপ নয়, বরং এটা দলকে উজ্জীবিত করে। কিন্তু আমরা তাদের খুশি করতে পারিনি। কিন্তু সব শেষে এটাই ক্রিকেট। এটা একটা খেলা মাত্র। আমরা আবার ভালো খেলে জয় আনব, দেশের ক্রিকেট সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটাব। আমাদের এখন খুঁজে বের করতে হবে কোথায় কোথায় ভুল করেছি এবং সেগুলো শোধরাতে হবে, পরবর্তী খেলায় ফিরতে হবে।’