আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের প্রথম ম্যাচ জয় দিয়ে রাঙাতে পারলো না বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে রানের বড় সংগ্রহ করলেও ফিল্ডিংয়ে ছিল বিপরীত। শুরুতে লংকানরা ধাক্কা খেলেও লিটন দাসের ২ ক্যাচ মিসের কারণে দাপুটে জয় পেয়েছে শ্রীলঙ্কা।
ফলে পরাজয় দিয়ে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ পর্ব শুরু করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ১৭১ রানের বড় পুঁজি সত্ত্বেও ক্যাচ হাতছাড়ার সুবিধা আদায় করে লঙ্কানরা পেয়েছে ৫ উইকেটের জয়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের এটাই সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে পাওয়া জয়।
শারজায় টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান জড়ো করে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে অর্ধশতক হাঁকান নাঈম শেখ ও মুশফিকুর রহিম।
৬২ রান করে নাঈম ছিলেন দলের সর্বোচ্চ স্কোরার। যদিও এজন্য তাকে খেলতে হয়েছে ৫২ বল। তার ব্যাট থেকে আসে ৬টি চার। রানে ফেরা মুশফিক এদিন খেলেন ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস। ৩৭ বলের মোকাবেলায় ৫টি চার ও ২টি ছক্কা হাঁকিয়ে ৫৭ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।
এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে লিটন দাস ১৬ বলে ১৬, অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৫ বলে অপরাজিত ১০, আফিফ হোসেন ধ্রুব ৬ বলে ৭ ও সাকিব আল হাসান ৭ বলে ১০ রান করেন।
জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রথম ওভারেই নাসুমের বলে কুশল পেরেরাকে হারায় শ্রীলঙ্কা। যদিও নিজের দ্বিতীয় ওভারেই নাসুম ছিলেন খরুচে। ওয়ান ডাউনে নেমে দলের হাল ধরেন চারিথ আসালাঙ্কা। দ্বিতীয় উইকেটে পাথুম নিসাঙ্কার সাথে গড়েন ৬৯ রানের পার্টনারশিপ। সাকিব আল হাসান জোড়া আঘাত হানলে সাজঘরে ফেরেন নিসাঙ্কা (২১ বলে ২৪) ও অভিষকা ফার্নান্দো (৩ বলে ০)।
১৪ রানে লিটনের হাতে জীবন পাওয়া ভানুকা রাজাপক্ষে সময়ের সাথে সাথে বিধ্বংসী ব্যাটিং শুরু করেন। অর্ধশতক তুলে নেওয়া আসালাঙ্কা জীবন পান ৬৩ রানে। এবারও ক্যাচ হাতছাড়া করেন লিটন। জোড়া ক্যাচ হাতছাড়ায় বদলে যায় বাংলাদেশের শরীরী ভাষাও। সাকিবের নিয়ন্ত্রিত বোলিংও আর দলকে ম্যাচে ফেরাতে পারেনি।
৯ম ওভার শেষে ২ ওভারে মাত্র ৬ রানের খরচায় ২ উইকেট শিকার করা সাকিব ফের বোলিংয়ে আসেন ১৭তম ওভারে। ততক্ষণে ম্যাচ চলে গেছে লঙ্কানদের নিয়ন্ত্রণে। শেষপর্যন্ত শ্রীলঙ্কা ম্যাচ জিতে নেয় ১৮.৫ ওভারে, ৫ উইকেট হাতে রেখে।
বাংলাদেশের পক্ষে সাকিব ও নাসুম দুটি করে উইকেট শিকার করেন, একটি উইকেট পান সাইফউদ্দিন। ৩ ওভার বল করে সাকিব খরচ করেন ১৭ রান। ২.৫ ওভার বল করা নাসুম জোড়া উইকেট পেলেও ২৯ রান খরচ করেছেন।